GPS কি? জিপিএস কাকে বলে? জিপিএস কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়?

আজকের আর্টিকেলে আমরা GPS কি? জিপিএস কাকে বলে? জিপিএস কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়? ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

GPS কি

GPS কি? জিপিএস কাকে বলে?

GPS কি: GPS (Global Positioning System) হলো একটি স্যাটেলাইট ভিত্তিক নেভিগেশন সিস্টেম যা পৃথিবীর যে কোন স্থানে সঠিক অবস্থান, সময় এবং গতির তথ্য প্রদান করে।

GPS কি: আবার বলা যায়, জিপিএস (GPS) হলো গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম, যা পৃথিবীর যেকোনো স্থানে নির্ভুল অবস্থান নির্ণয়ের একটি উপগ্রহভিত্তিক ন্যাভিগেশন সিস্টেম। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ কর্তৃক প্রথম উন্নত করা হয় এবং বর্তমানে সারা বিশ্বে ব্যবহৃত হয়।

জিপিএস সিস্টেমে ২৪টি সক্রিয় স্যাটেলাইট এবং স্থলভিত্তিক স্টেশন থাকে। এটি তিনটি প্রধান কাজ করে

Gps কে আবিষ্কার করেন?

GPS (Global Positioning System) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ (U.S. Department of Defense) কর্তৃক উন্নত করা হয়। এটি একটি যৌথ প্রচেষ্টার ফল, তবে এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন মার্কিন বিজ্ঞানী ড. ইভান গেটিং (Dr. Ivan Getting) এবং ড. ব্র্যাডফোর্ড পারকিনস (Dr. Bradford Parkinson)

অবদান:

  1. ড. ইভান গেটিং: স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেমের জন্য ধারণাগত ভিত্তি স্থাপন করেন।
  2. ড. ব্র্যাডফোর্ড পারকিনস: GPS প্রকল্পের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং এর কার্যক্রম বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেন।

প্রথম GPS স্যাটেলাইট ১৯৭৮ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়, এবং এটি ১৯৯৩ সালে পুরোপুরি কার্যকর হয়।

GPS এর মূল উপাদান:

  1. স্যাটেলাইট:
    • বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় কক্ষপথে ঘূর্ণমান স্যাটেলাইটগুলো জিপিএস সিগন্যাল পাঠায়।
  2. রিসিভার:
    • একটি ডিভাইস যা স্যাটেলাইট থেকে সিগন্যাল গ্রহণ করে এবং আপনার অবস্থান নির্ধারণ করে।
  3. নেভিগেশন সিস্টেম:
    • স্যাটেলাইট সিগন্যালের সাহায্যে স্থান, গতি এবং সময়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে।

GPS এর কাজ:

  1. অবস্থান নির্ধারণ:
    • স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত সিগন্যাল বিশ্লেষণ করে নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে।
  2. নেভিগেশন এবং ম্যাপিং:
    • সঠিক পথ নির্দেশনা এবং ম্যাপিং সেবা প্রদান করে, যেমন গাড়ির নেভিগেশন সিস্টেমে ব্যবহৃত।
  3. সময় সিঙ্ক্রোনাইজেশন:
    • বিভিন্ন সিস্টেমে সঠিক সময় নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত হয়, যেমন টেলিকমিউনিকেশন এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায়।

সারসংক্ষেপ:

GPS (Global Positioning System) একটি স্যাটেলাইট ভিত্তিক নেভিগেশন সিস্টেম যা পৃথিবীর যে কোন স্থানে সঠিক অবস্থান, সময় এবং গতির তথ্য প্রদান করে।

জিপিএস কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়?

GPS (Global Positioning System) বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এখানে জিপিএস ব্যবহারের কিছু সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার উল্লেখ করা হলো:

১. নেভিগেশন:

  • গাড়ি নেভিগেশন: গাড়ি, ট্রাক, এবং অন্যান্য যানবাহনে পথনির্দেশনা প্রদান করে।
  • পদযাত্রা: হাঁটা বা সাইকেল চালানোর সময় পথ নির্দেশনা প্রদান করে।

২. ম্যাপিং এবং জিওলজিক্যাল সিস্টেম:

  • ম্যাপিং: ভূমির মানচিত্র তৈরি করতে এবং স্থানীয় বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে সাহায্য করে।
  • জিওলজিক্যাল রিসার্চ: ভূতাত্ত্বিক গবেষণা এবং পরিসংখ্যান সংগ্রহে ব্যবহৃত হয়।

৩. আবহাওয়া এবং পরিবেশ পর্যবেক্ষণ:

  • আবহাওয়া পূর্বাভাস: আবহাওয়ার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করতে ব্যবহৃত।
  • পরিবেশ মনিটরিং: পরিবেশগত পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় পর্যবেক্ষণে সাহায্য করে।

৪. অতি প্রয়োজনীয় সেবা:

  • ইমার্জেন্সি সার্ভিস: জরুরি পরিস্থিতিতে (যেমন আগুন, দুর্ঘটনা) স্থান শনাক্ত করতে সহায়ক।
  • বিপর্যয় সেবা: বিপর্যয়কর অবস্থায় সঠিক স্থানে সহায়তা পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত।

৫. বাণিজ্যিক এবং লজিস্টিকস:

  • লজিস্টিকস: মালপত্রের স্থান এবং ট্র্যাকিং ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত হয়।
  • বাণিজ্যিক ট্র্যাকিং: পণ্য এবং যানবাহনের অবস্থান নজরদারি করতে সাহায্য করে।

৬. ক্রিয়েটিভ এবং পার্সোনাল ইউজ:

  • অ্যাথলেটিকস: রানিং, সাইক্লিং, এবং অন্যান্য খেলাধুলায় গতির ট্র্যাকিং এবং বিশ্লেষণ করতে ব্যবহৃত।
  • আনন্দ: আউটডোর অ্যাকটিভিটি এবং ট্রেকিংয়ের জন্য ট্র্যাকিং ডিভাইস এবং অ্যাপস।

সারসংক্ষেপ:

জিপিএস বিভিন্ন ক্ষেত্র ও কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে নেভিগেশন, ম্যাপিং, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, ইমার্জেন্সি সার্ভিস, বাণিজ্যিক ট্র্যাকিং, এবং পার্সোনাল ইউজ অন্তর্ভুক্ত।

আরও পড়ুন: ক্লাউড কম্পিউটিং কি? বৈশিষ্ট্য ও ক্লাউড কম্পিউটিং কীভাবে কাজ করে?

জিপিএস (GPS) কীভাবে কাজ করে?

জিপিএস (GPS) একটি স্যাটেলাইট ভিত্তিক নেভিগেশন সিস্টেম যা পৃথিবীর উপর সঠিক অবস্থান, সময় এবং গতির তথ্য প্রদান করে। এটি সঠিকভাবে কাজ করতে নিম্নলিখিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে:

১. স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক:

  • স্যাটেলাইট কক্ষপথ: জিপিএস সিস্টেমে ২৪টি স্যাটেলাইট পৃথিবীর কক্ষপথে ঘূর্ণমান থাকে, যা পৃথিবীর সব অংশে সিগন্যাল পাঠায়।
  • স্যাটেলাইট অবস্থান: এই স্যাটেলাইটগুলো নির্দিষ্ট কক্ষপথে অবস্থান করে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে সিগন্যাল পাঠায়।

২. সিগন্যাল পাঠানো:

  • সিগন্যাল প্রেরণ: প্রতিটি স্যাটেলাইট একটি সময় নির্দিষ্ট করে সিগন্যাল পাঠায় যা সময় এবং স্যাটেলাইটের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য বহন করে।

৩. সিগন্যাল গ্রহণ:

  • রিসিভার: একটি জিপিএস রিসিভার (যেমন স্মার্টফোন বা গাড়ির নেভিগেশন সিস্টেম) স্যাটেলাইট থেকে সিগন্যাল গ্রহণ করে।
  • সিগন্যাল বিশ্লেষণ: রিসিভার সিগন্যালের ট্রাভেল টাইম পরিমাপ করে এবং সেটি থেকে স্যাটেলাইটের দূরত্ব নির্ধারণ করে।

৪. অবস্থান নির্ধারণ:

  • ট্রাইলেটারেশন: অন্তত ৪টি স্যাটেলাইটের সিগন্যাল বিশ্লেষণ করে, রিসিভার সঠিকভাবে আপনার অবস্থান নির্ধারণ করে। এটি ট্রাইলেটারেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে যেখানে বিভিন্ন স্যাটেলাইটের সাথে রিসিভারের দূরত্ব বিশ্লেষণ করা হয়।

৫. অবস্থান প্রক্রিয়াকরণ:

  • অবস্থান গণনা: সিগন্যালের সময়কাল এবং দূরত্বের ভিত্তিতে রিসিভার সঠিক অবস্থান, সময় এবং গতির তথ্য গণনা করে।
  • পূর্ণাঙ্গ তথ্য: রিসিভার প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে একটি মানচিত্রে অবস্থান চিহ্নিত করতে পারে বা নেভিগেশন নির্দেশনা প্রদান করে।

সারসংক্ষেপ:

জিপিএস সিস্টেম স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সিগন্যাল পাঠিয়ে এবং রিসিভারের মাধ্যমে সেই সিগন্যাল গ্রহণ করে সঠিকভাবে আপনার অবস্থান, সময় এবং গতির তথ্য নির্ধারণ করে। স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক এবং ট্রাইলেটারেশন পদ্ধতির মাধ্যমে এটি কাজ করে।

জিপিএস এর সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ

জিপিএস (GPS) সিস্টেমের বেশ কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। নিচে এসব সুবিধা ও অসুবিধা উল্লেখ করা হলো:

সুবিধা:

  1. সঠিক অবস্থান নির্ধারণ:
    • জিপিএস সিস্টেম সঠিকভাবে পৃথিবীর যে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ধারণ করতে সক্ষম।
  2. নেভিগেশন সহায়তা:
    • গাড়ি, নৌকা, হাঁটা এবং সাইক্লিংয়ে সঠিক পথ নির্দেশনা প্রদান করে, যা দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করে।
  3. বিশ্বব্যাপী কভারেজ:
    • পৃথিবীর যে কোনো স্থানে সঠিক তথ্য প্রদান করে, কারণ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সিগন্যাল প্রেরণ করা হয়।
  4. ইমার্জেন্সি সেবা:
    • জরুরি পরিস্থিতিতে (যেমন দুর্ঘটনা) সঠিক অবস্থান নির্ধারণ করে সাহায্য করতে পারে।
  5. লজিস্টিকস এবং ট্র্যাকিং:
    • পণ্য এবং যানবাহনের স্থান ট্র্যাক করতে সহায়ক, যা বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ।
  6. আবহাওয়া এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা:
    • আবহাওয়া পূর্বাভাস এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

অসুবিধা:

  1. নির্ভরতা:
    • জিপিএস সিগন্যাল স্যাটেলাইটের উপর নির্ভরশীল, তাই সিগন্যাল হারিয়ে গেলে বা দুর্বল হলে সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন হতে পারে।
  2. সিগন্যাল ব্লকিং:
    • গাড়ির ভিতর, গভীর ভবনে বা বনাঞ্চলে সিগন্যাল ব্লক হতে পারে, যা সঠিক অবস্থান নির্ধারণে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
  3. নিরাপত্তা ঝুঁকি:
    • জিপিএস ডেটার নিরাপত্তা হুমকি থাকতে পারে, যেমন স্থানীয় তথ্যের অগ্রহণযোগ্যতা বা স্থানচ্যুতি।
  4. ব্যাটারি জীবন:
    • মোবাইল ডিভাইসগুলির ব্যাটারি ব্যবহার করে, যা দীর্ঘ ব্যবহারের সময় ব্যাটারি জীবনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  5. গোপনীয়তা উদ্বেগ:
    • ব্যক্তি স্থান এবং গতির তথ্য ট্র্যাক করা হলে গোপনীয়তা উদ্বেগ সৃষ্টি হতে পারে।

জিপিএসের গুরুত্ব

জিপিএসের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি নির্ভুলভাবে যেকোনো স্থানের অবস্থান নির্ধারণে সাহায্য করে। নেভিগেশনের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর, বিশেষত গাড়ি, বিমান, ও নৌযানে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং, কৃষি, এবং সামরিক কার্যক্রমে জিপিএস অপরিহার্য। এছাড়া মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, মানচিত্র তৈরি, এবং জরুরি উদ্ধার কার্যক্রমেও জিপিএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আধুনিক জীবনকে সহজ ও কার্যকর করেছে।

সারসংক্ষেপ:

জিপিএস সিস্টেম বিশ্বব্যাপী সঠিক নেভিগেশন এবং অবস্থান নির্ধারণের সুবিধা প্রদান করে, তবে এটি সিগন্যাল ব্লকিং, নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং গোপনীয়তার উদ্বেগের মতো অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে।

জিপিএসের সুবিধা ও অসুবিধা

জিপিএস (Global Positioning System) একটি স্যাটেলাইট ভিত্তিক নেভিগেশন সিস্টেম, যা পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় অবস্থান নির্ণয় করতে সাহায্য করে। এটি বিভিন্ন প্রযুক্তি এবং অ্যাপ্লিকেশন যেমন গাড়ি নেভিগেশন, লোকেশন ট্র্যাকিং, এবং ম্যাপিং সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়।

নিচে জিপিএসের সুবিধা এবং অসুবিধা তুলে ধরা হলো:

জিপিএসের সুবিধা:

  1. সঠিক লোকেশন নির্ধারণ:
    • জিপিএস খুবই সঠিকভাবে যেকোনো জায়গার অবস্থান নির্ধারণ করতে পারে। এটি আপনাকে আপনার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করে।
  2. নেভিগেশন সুবিধা:
    • গাড়ি চালানো, হাঁটা বা সাইকেল চালানোর সময় জিপিএস আপনাকে সঠিক পথে চালনা বা গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য নির্দেশনা দেয়। এটি আপনাকে রিয়েল-টাইম ডিরেকশন এবং ট্রাফিক আপডেট সরবরাহ করে।
  3. অনলাইন এবং অফলাইন ব্যবহার:
    • অনেক গুলি জিপিএস অ্যাপ্লিকেশন অফলাইনও কাজ করে, যা ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াও আপনার অবস্থান নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
  4. এমারজেন্সি পরিস্থিতিতে সাহায্য:
    • দুর্ঘটনা বা কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে জিপিএস আপনার সঠিক অবস্থান শনাক্ত করতে সহায়ক, যা উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়ক হতে পারে।
  5. মাল্টিপল অ্যাপ্লিকেশন:
    • জিপিএস শুধু গাড়ি নেভিগেশনেই নয়, এটি ট্র্যাকিং, ভ্রমণ, ডেলিভারি সার্ভিস, ফিটনেস অ্যাপস (যেমন রানিং বা সাইক্লিং অ্যাপ) এবং আরও অনেক কিছুতে ব্যবহৃত হয়।

জিপিএসের অসুবিধা:

  1. ব্যাটারি খরচ:
    • জিপিএসের ব্যবহার সাধারণত স্মার্টফোন বা গাড়ির ব্যাটারি দ্রুত শেষ করে। দীর্ঘ ব্যবহারে এটি ফোন বা ডিভাইসের ব্যাটারি জীবন কমিয়ে দিতে পারে।
  2. সেটেলাইট সিগন্যালের সমস্যা:
    • জিপিএস সিগন্যালটি যদি কোনো সুড়ঙ্গ, উঁচু ভবন বা গভীর বনাঞ্চলের মধ্যে হয়, তবে সঠিক সিগন্যাল পেতে সমস্যা হতে পারে। এর ফলে সঠিক অবস্থান নির্ধারণে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
  3. পথের ভুল নির্দেশনা:
    • কখনো কখনো জিপিএস সিস্টেম ভুল বা অপ্রচলিত রাস্তা নির্দেশ করতে পারে। এটি বিশেষ করে নতুন এলাকায় বা সিস্টেম আপডেট না হওয়া ম্যাপের কারণে হতে পারে।
  4. ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ঝুঁকি:
    • জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম যদি হ্যাকারদের হাতে চলে যায়, তবে আপনার অবস্থান সম্পর্কিত গোপন তথ্য চুরি হতে পারে। এটি আপনার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
  5. সতর্কতা কম হওয়া:
    • গাড়ি চালানোর সময় শুধুমাত্র জিপিএস এর উপর নির্ভর করে চলা বিপদজনক হতে পারে। গাড়ির চালককে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে এবং জিপিএসের নির্দেশনা ছাড়াও রাস্তায় সতর্কতার সাথে চলতে হবে।

জিপিএস আধুনিক প্রযুক্তির একটি অপরিহার্য অংশ এবং এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। তবে এর কিছু সীমাবদ্ধতা এবং সমস্যাও রয়েছে, বিশেষ করে সিগন্যালের ব্যাঘাত এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে। সঠিকভাবে এবং মনোযোগ দিয়ে ব্যবহৃত হলে, এটি একটি শক্তিশালী এবং সুবিধাজনক প্রযুক্তি হতে পারে।

জিপিএস নিয়ে ১০ টি এমসিকিউ

০১. GPS-এর পূর্ণরূপ কী?
ক) Global Positioning System
খ) General Positioning System
গ) Global Processing System
ঘ) General Processing System
উত্তর: ক) Global Positioning System

০২. GPS কীসের মাধ্যমে কাজ করে?
ক) স্যাটেলাইট
খ) মোবাইল নেটওয়ার্ক
গ) ওয়াই-ফাই
ঘ) ব্লুটুথ
উত্তর: ক) স্যাটেলাইট

০৩. GPS-এর প্রধান ব্যবহার কী?
ক) গেম খেলা
খ) অবস্থান নির্ণয়
গ) ডাটা সংরক্ষণ
ঘ) ভিডিও এডিটিং
উত্তর: খ) অবস্থান নির্ণয়

০৪. GPS প্রথম কোন দেশে উদ্ভাবিত হয়?
ক) যুক্তরাষ্ট্র
খ) চীন
গ) জাপান
ঘ) রাশিয়া
উত্তর: ক) যুক্তরাষ্ট্র

০৫. GPS সিগন্যাল গ্রহণ করতে কোন ডিভাইস ব্যবহার করা হয়?
ক) GPS রিসিভার
খ) FM রেডিও
গ) ইনফ্রারেড সেন্সর
ঘ) ওয়াই-ফাই রাউটার
উত্তর: ক) GPS রিসিভার

০৬. নিচের কোনটি GPS-এর একটি মূল উপাদান?
ক) স্যাটেলাইট
খ) ব্যাটারি
গ) অপটিক্যাল ফাইবার
ঘ) ব্লুটুথ ডিভাইস
উত্তর: ক) স্যাটেলাইট

০৭. GPS সিস্টেমে সাধারণত কতটি স্যাটেলাইট থাকে?
ক) ১২
খ) ২৪
গ) ৩৬
ঘ) ৪৮
উত্তর: খ) ২৪

০৮. নিচের কোনটি GPS-এর ব্যবহার নয়?
ক) নেভিগেশন
খ) আবহাওয়া পূর্বাভাস
গ) ট্র্যাকিং
ঘ) জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম
উত্তর: খ) আবহাওয়া পূর্বাভাস

০৯. কোন প্রযুক্তি GPS-এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়?
ক) GLONASS
খ) FM রেডিও
গ) ব্লুটুথ
ঘ) NFC
উত্তর: ক) GLONASS

১০. কোন ধরনের তরঙ্গ ব্যবহার করে?
ক) রেডিও তরঙ্গ
খ) এক্স-রে তরঙ্গ
গ) ইনফ্রারেড তরঙ্গ
ঘ) আল্ট্রাভায়োলেট তরঙ্গ
উত্তর: ক) রেডিও তরঙ্গ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top