ই কমার্স কি? ই-কমার্স বলতে কী বুঝ? ই কমার্স এর পূর্ণরূপ কি?

ই কমার্স কি: ই-কমার্স (E-commerce) হলো ইলেকট্রনিক কমার্স, যা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পণ্য ও সেবা কেনা-বেচার প্রক্রিয়া। ই-কমার্সের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্য বা সেবা প্রদর্শন করে এবং গ্রাহকরা সেই পণ্য বা সেবা কিনতে পারে।

ই কমার্স কি

ই-কমার্স বলতে কী বুঝায়? E-commerce কাকে বলে?

ই কমার্স কি: ই-কমার্স বলতে এমন একটি ব্যবস্থা বোঝায়, যেখানে অনলাইন পেমেন্ট, পণ্যের অর্ডার, এবং সরবরাহ সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেন পরিচালিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, এমাজন, আলিবাবা, দারাজ, ইত্যাদি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাহকরা পণ্য কেনাকাটা করতে পারে। এটি ব্যবসায়িক লেনদেনকে দ্রুত, সহজ এবং সুবিধাজনক করে তোলে। অক্সফোর্ড ডিকশনারির অনুযায়ী, ই-কমার্স (E-commerce) হলো:“Commercial transactions conducted electronically on the Internet.” অর্থাৎ, ই-কমার্স হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিচালিত বাণিজ্যিক লেনদেন। এতে পণ্য বা সেবা কেনা এবং বিক্রি করা, পেমেন্ট প্রক্রিয়া, এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকে।

ই কমার্স এর পূর্ণরূপ কি?

ই-কমার্স (E-commerce) এর পূর্ণরূপ হলো Electronic Commerce। এটি ইলেকট্রনিক প্ল্যাটফর্ম বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা কেনা-বেচার প্রক্রিয়া নির্দেশ করে।

ই-কমার্সের প্রবর্তক কে ছিলেন?

ই-কমার্সের প্রবর্তক হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান অবদান রেখেছেন। তবে, ই-কমার্সের প্রথম সফল উদাহরণ হিসেবে মাইকেল অ্যাল্ড্রিচ (Michael Aldrich) কে উল্লেখ করা হয়। তিনি ১৯৭৯ সালে একটি টেলিভিশন এবং কম্পিউটার সংযোগের মাধ্যমে অনলাইন শপিং সিস্টেম চালু করেন, যা ই-কমার্সের প্রথম পদক্ষেপ ছিল। এরপর ১৯৯০-এর দশকে ইন্টারনেটের প্রসারের ফলে আমাজন (Jeff Bezos-এর প্রতিষ্ঠিত), eBay, এবং আলিবাবা (Jack Ma-এর প্রতিষ্ঠিত) ই-কমার্সকে জনপ্রিয় করে তোলে এবং আধুনিক ই-কমার্স ব্যবস্থার ভিত্তি গড়ে ওঠে।

ই-কমার্সের ধরণ | E-commerce এর প্রকারভেদ

  1. B2C (Business to Consumer): ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি গ্রাহকদের পণ্য বা সেবা বিক্রয়, যেমন অ্যামাজন।
  2. B2B (Business to Business): ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পণ্য বা সেবা লেনদেন, যেমন আলিবাবা।
  3. C2C (Consumer to Consumer): একজন গ্রাহক থেকে অন্য গ্রাহককে পণ্য বা সেবা বিক্রি, যেমন eBay বা OLX।
  4. C2B (Consumer to Business): গ্রাহক থেকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছে সেবা বা পণ্য বিক্রি, যেমন ফ্রিল্যান্সিং।

বাংলাদেশে ই-কমার্সের সুযোগ

বাংলাদেশে ই-কমার্সের সুযোগ ক্রমশ বাড়ছে, এবং এটি দেশের অর্থনীতি ও প্রযুক্তি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইন্টারনেট ও মোবাইল প্রযুক্তির প্রসার এবং ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা উন্নয়নের ফলে ই-কমার্সের বিকাশ ঘটেছে। বাংলাদেশের ই-কমার্সের কিছু উল্লেখযোগ্য সুযোগ নিম্নরূপ:

১. বাজারের সম্প্রসারণ:

বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭০ মিলিয়ন, যার একটি বড় অংশ তরুণ প্রজন্ম ও প্রযুক্তি সচেতন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ই-কমার্সের সম্ভাব্য বাজার দ্রুত বাড়ছে, যা উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরি করছে।

২. স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসার সুযোগ:

ই-কমার্সের মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য দেশের প্রতিটি কোণে পৌঁছে দিতে পারেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক বাজারেও প্রবেশের সুযোগ রয়েছে।

৩. উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ প্রবেশ:

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তারা স্বল্প মূলধনে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অনলাইন স্টোর খোলা, সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারণা চালানো, এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের সহজলভ্যতা ব্যবসায়ীদের প্রবেশ সহজ করে তুলেছে।

৪. কাজের সুযোগ সৃষ্টি:

ই-কমার্স খাতের দ্রুত বিকাশ নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করছে। লজিস্টিকস, ডেলিভারি সার্ভিস, আইটি, এবং কাস্টমার সার্ভিসের মতো বিভিন্ন খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে।

৫. ডিজিটাল পেমেন্টের প্রসার:

বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিং ও ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে পেমেন্ট সহজ হয়ে গেছে, যা ই-কমার্সে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য লেনদেনের প্রক্রিয়া দ্রুত ও নিরাপদ করেছে।

৬. গ্রাহকসেবার উন্নতি:

ই-কমার্স গ্রাহকদের জন্য সুবিধাজনক কেনাকাটার ব্যবস্থা করে। ঘরে বসে পণ্য কেনাকাটা, মূল্য তুলনা করা, এবং গ্রাহক রিভিউ দেখার সুবিধা গ্রাহকদের জন্য বড় সুবিধা। এছাড়া, সময়মতো ডেলিভারি ও বিক্রয়-পরবর্তী সেবা ই-কমার্সের প্রতি আস্থা বাড়াচ্ছে।

৭. নতুন পণ্যের উদ্ভাবন ও বিতরণ:

বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (SMEs) ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তাদের বিশেষ পণ্য যেমন হস্তশিল্প, খাদ্যদ্রব্য, ফ্যাশন পণ্য ইত্যাদি সরবরাহ করতে পারছে। এটি উদ্যোক্তাদের নতুন পণ্য বাজারজাত করার সুযোগ করে দিচ্ছে।

৮. নারীদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ:

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম বিশেষত নারীদের জন্য উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করছে। অনেক নারী উদ্যোক্তা এখন ঘরে বসে ই-কমার্সের মাধ্যমে তাদের পণ্য বিক্রি করছেন।

৯. সরকারি উদ্যোগ ও সহায়তা:

বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনের অংশ হিসেবে ই-কমার্স খাতকে উৎসাহিত করছে এবং নীতিমালা প্রণয়ন করছে। সরকারী বিভিন্ন প্রকল্প এবং ট্যাক্স সুবিধার মাধ্যমে এই খাতের উন্নয়ন ঘটানোর প্রচেষ্টা চলছে।

চ্যালেঞ্জসমূহ:

  • বিশ্বস্ততার অভাব: কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণা ও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ ই-কমার্সের প্রতি গ্রাহকদের আস্থার সংকট সৃষ্টি করে।
  • ডেলিভারি চ্যালেঞ্জ: দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ডেলিভারি সার্ভিস উন্নত না হওয়ায় সেখানে ই-কমার্সের সেবা পৌঁছানো কঠিন।
  • লজিস্টিক সমস্যা: সময়মত ডেলিভারি ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন দরকার।
  • নিয়ন্ত্রক কাঠামোর অভাব: নির্ভরযোগ্য ই-কমার্স নীতিমালা এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োজন, যাতে প্রতারণা ও অপব্যবহার রোধ করা যায়।

সারসংক্ষেপ:

বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতের সম্ভাবনা অনেক বড়, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যদি এই খাতের চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে মোকাবেলা করা যায়, তবে এটি দেশের অর্থনীতি এবং উদ্যোক্তাদের জন্য আরও বড় সুযোগ সৃষ্টি করবে।

বাংলাদেশের প্রথম ই-কমার্স সাইট কোনটি?

বাংলাদেশের প্রথম ই-কমার্স সাইট ছিল এখানেই.কম (Ekhanei.com), যা ২০০৬ সালে চালু হয়েছিল। এটি একটি ক্লাসিফাইড সাইট ছিল, যেখানে ক্রেতা এবং বিক্রেতারা অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য কেনাবেচা করতে পারতেন। যদিও এটি পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে যায়, এখানেই.কম বাংলাদেশের ই-কমার্সের অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

এরপর বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট, যেমন বাগডুম (Bagdoom), দারাজ (Daraz) এবং আজকের ডিল (AjkerDeal) ই-কমার্স খাতের বিকাশে ভূমিকা রাখে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সাইট কোনটি?

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সাইট হলো আমাজন (Amazon)। এটি ১৯৯৪ সালে জেফ বেজোস (Jeff Bezos) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে আমাজন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অনলাইন খুচরা বিক্রেতা এবং ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। আমাজনের বিশাল পণ্যসম্ভার, দ্রুত ডেলিভারি সেবা, এবং উন্নত প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মের কারণে এটি ই-কমার্সের শীর্ষস্থানে রয়েছে।

ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা কি কি?

ই কমার্স কি এ নিয়ে উপরে জেনেছি। এর অনেক সুবিধা এবং কিছু অসুবিধা রয়েছে। নিচে তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো:

E-commerce এর সুবিধা:

  1. ২৪/৭ সেবা: ই-কমার্স সাইটগুলো সার্বক্ষণিক খোলা থাকে, ফলে গ্রাহকরা যেকোনো সময় কেনাকাটা করতে পারেন।
  2. সুবিধাজনক কেনাকাটা: ঘরে বসে সহজেই পণ্য কেনা সম্ভব, ফলে সময় এবং পরিশ্রম সাশ্রয় হয়।
  3. বিশাল পণ্যের পরিসর: ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে হাজার হাজার পণ্য পাওয়া যায়, যেখানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মধ্যে তুলনা করা যায়।
  4. দ্রুত মূল্য তুলনা: ই-কমার্স সাইটগুলোতে একই ধরনের পণ্যের দাম সহজেই তুলনা করা যায়, যা ক্রেতাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
  5. ডিজিটাল পেমেন্ট: অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং এবং ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে দ্রুত এবং নিরাপদে পেমেন্ট করা যায়।
  6. ব্যবসার সম্প্রসারণ: ব্যবসায়ীরা অনলাইনে পণ্য বিক্রির মাধ্যমে বৃহত্তর গ্রাহকগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে পারেন, যা তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়ক।
  7. কম খরচে ব্যবসা চালানো: ফিজিক্যাল স্টোরের প্রয়োজন না থাকায় ই-কমার্সের মাধ্যমে কম খরচে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব।
  8. গ্রাহক রিভিউ: ই-কমার্স সাইটগুলোতে ক্রেতারা পণ্য সম্পর্কিত রিভিউ ও রেটিং দেখতে পারেন, যা কেনাকাটার আগে তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।

ই-কমার্সের অসুবিধা:

  1. প্রতারণার আশঙ্কা: কিছু সময়ে গ্রাহকরা নিম্নমানের পণ্য অথবা ভিন্ন ধরনের পণ্য পেয়ে থাকেন, যা প্রতারণার উদাহরণ হতে পারে।
  2. ডেলিভারির সময়: ই-কমার্সে কেনাকাটা করার পর পণ্য পেতে সময় লাগে। কখনো ডেলিভারি বিলম্বিত হতে পারে, যা গ্রাহকের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করে।
  3. পণ্য স্পর্শ করার সুযোগ নেই: অনলাইনে কেনাকাটা করার সময় পণ্য স্পর্শ বা পরীক্ষা করার সুযোগ নেই, যা কখনও ভুল সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে পারে।
  4. রিটার্ন ও রিফান্ড সমস্যাগুলো: পণ্য রিটার্ন ও রিফান্ড প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে এবং অনেক সময় এই প্রক্রিয়া গ্রাহকের জন্য অসুবিধাজনক হয়।
  5. ইন্টারনেট নির্ভরতা: ই-কমার্স ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন। যেসব স্থানে ইন্টারনেট সংযোগ দুর্বল, সেখানে ই-কমার্স কার্যকরীভাবে ব্যবহার করা যায় না।
  6. ডিজিটাল নিরাপত্তা: অনলাইন পেমেন্টে নিরাপত্তার সমস্যা থাকতে পারে, যেমন ক্রেডিট কার্ড ফ্রড বা তথ্য চুরি।
  7. কাস্টমার সার্ভিসের ঘাটতি: অনেক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে তাৎক্ষণিক সহায়তা পাওয়া কঠিন হতে পারে এবং সমস্যা সমাধানে দেরি হতে পারে।

সারসংক্ষেপ:

ই-কমার্স গ্রাহকদের জন্য দ্রুত, সহজ এবং সুবিধাজনক কেনাকাটার সুযোগ তৈরি করেছে, তবে এর সাথে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে।

জনপ্রিয় ১৫ টি ই-কমার্স সাইট

ই-কমার্স সাইট বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় শপিং প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে একটি। এসব সাইটে ব্যবহারকারীরা অনলাইনে পণ্য কেনা, বিক্রি, অথবা বিভিন্ন পরিষেবা গ্রহণ করতে পারেন। এখানে জনপ্রিয় ১৫টি ই-কমার্স সাইট দেওয়া হলো:

১. আমাজন (Amazon)

  • বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স সাইট। এখানে প্রায় সব ধরনের পণ্য পাওয়া যায়, যেমন বই, ইলেকট্রনিক্স, গৃহস্থালী জিনিসপত্র, পোশাক ইত্যাদি।

২. আলিবাবা (Alibaba)

  • চীনের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সাইট, যা মূলত বাল্ক অর্ডার এবং পাইকারি বিক্রির জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বিশ্বব্যাপী ব্যবসার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।

৩. ইবে (eBay)

  • একটি জনপ্রিয় অনলাইন নিলাম সাইট, যেখানে ব্যবহারকারীরা পণ্য কিনতে এবং বিক্রি করতে পারেন। ইবে বিশেষ করে পুরনো বা দ্বিতীয় হাত পণ্য বিক্রির জন্য জনপ্রিয়।

৪. শপিফাই (Shopify)

  • একটি অনলাইন শপ তৈরি করার প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্টোর খুলে পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এটি সহজেই ই-কমার্স সাইট তৈরি করার জন্য জনপ্রিয়।

৫. ইটসি (Etsy)

  • ক্রিয়েটিভ এবং হ্যান্ডমেড পণ্য বিক্রির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত একটি সাইট। এখানে নানা ধরনের আর্ট, হ্যান্ডমেড গয়না, পোশাক ইত্যাদি বিক্রি হয়।

৬. ফ্লিপকার্ট (Flipkart)

  • ভারতের একটি বৃহত্তম ই-কমার্স সাইট, যেখানে বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি, পোশাক, গৃহস্থালী সামগ্রী ইত্যাদি বিক্রি হয়।

৭. স্ন্যাপডিল (Snapdeal)

  • ভারতের আরেকটি জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট, যেখানে গ্রাহকরা নানা ধরনের পণ্য অনলাইনে কেনাবেচা করতে পারেন।

৮. মিঃফ্রিল (Mr. Price)

  • একটি দক্ষিণ আফ্রিকার ই-কমার্স সাইট, যেখানে ফ্যাশন, গৃহস্থালী সামগ্রী, সৌন্দর্য্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়া যায়।

৯. ওয়ালমার্ট (Walmart)

  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বৃহত্তম রিটেইল চেইন, যেখানে অনলাইনে খাদ্য, ইলেকট্রনিক্স, পোশাক, এবং আরও অনেক পণ্য পাওয়া যায়।

১০. জালন্দ (Jumia)

  • আফ্রিকার বৃহত্তম ই-কমার্স সাইট, যা বিভিন্ন ধরনের পণ্য এবং পরিষেবা অফার করে। এটি বিশেষ করে আফ্রিকার বাজারে জনপ্রিয়।

১১. টার্গেট (Target)

  • একটি মার্কিন রিটেইল চেইন, যা অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করে, বিশেষ করে গৃহস্থালী জিনিস, পোশাক, এবং ইলেকট্রনিক্স।

১২. ন্যকড (Newegg)

  • একটি জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট, যা প্রযুক্তি এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রির জন্য পরিচিত।

১৩. মিরসাইড (MercadoLibre)

  • ল্যাটিন আমেরিকার বৃহত্তম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নানা ধরনের পণ্য পাওয়া যায়, যেমন ইলেকট্রনিক্স, গৃহস্থালী জিনিসপত্র, এবং পোশাক।

১৪. কুপাং (Coupang)

  • দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় অনলাইন শপিং সাইট। এটি দ্রুত ডেলিভারি সেবার জন্য খ্যাত এবং বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হয়।

১৫. শিন (Shein)

  • একটি জনপ্রিয় ফ্যাশন ই-কমার্স সাইট, যা বিশেষ করে সস্তা এবং ট্রেন্ডি পোশাক বিক্রি করে। এটি বিশ্বব্যাপী তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়।

এই ই-কমার্স সাইটগুলি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করে এবং এসব সাইটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজে ঘরে বসে বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করতে পারেন। আধুনিক ডিজিটাল দুনিয়ায় ই-কমার্স সাইটগুলোর ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

ই-কমার্স নিয়ে ৫টি MCQ

০১. ই-কমার্স কী?
ক) ইলেকট্রনিক বাণিজ্য
খ) ইলেকট্রনিক যোগাযোগ
গ) ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম
ঘ) ইলেকট্রনিক মুদ্রা

উত্তর: ক) ইলেকট্রনিক বাণিজ্য

০২. নিচের কোনটি ই-কমার্সের একটি উদাহরণ?
ক) Facebook
খ) Amazon
গ) Wikipedia
ঘ) YouTube

উত্তর: খ) Amazon

০৩. ই-কমার্স কত প্রকার?
ক) ২
খ) ৩
গ) ৪
ঘ) ৫

উত্তর: গ) ৪ (B2B, B2C, C2C, C2B)

০৪. বাংলাদেশে জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম কোনটি?
ক) Daraz
খ) LinkedIn
গ) Twitter
ঘ) Instagram

উত্তর: ক) Daraz

০৫. নিচের কোনটি ই-কমার্সের সুবিধা?
ক) ২৪/৭ কেনাকাটার সুযোগ
খ) সীমিত পণ্য সংগ্রহ
গ) শুধুমাত্র নগদ লেনদেন
ঘ) কম গ্রাহক সুবিধা

উত্তর: ক) ২৪/৭ কেনাকাটার সুযোগ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top