মাউস হলো একটি ইনপুট ডিভাইস যা কম্পিউটারে কার্সর নিয়ন্ত্রণ ও কমান্ড প্রদান করতে ব্যবহৃত হয়, স্ক্রল ও ক্লিক করার সুবিধা দেয়। আজকের আর্টিকেলে আমরা মাউস কি? মাউসের কাজ কি? মাউস কোন ধরণের ডিভাইস? ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করব।

মাউস কি? মাউস কাকে বলে?
মাউস কি: মাউস (Mouse) হলো একটি ইনপুট ডিভাইস, যা কম্পিউটারে ব্যবহারকারীর নির্দেশনা প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ছোট হাতিয়ার বা ডিভাইস, যা সাধারনত টেবিলের উপর রেখে হাত দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। মাউসের সাহায্যে কম্পিউটারের স্ক্রিনে কার্সর (cursor) সরানো যায় এবং বিভিন্ন কমান্ড দেওয়া যায়, যেমন ফাইল খোলা, মেনু নির্বাচন করা, বা কোনো প্রোগ্রাম চালানো। মাউসের মূলত দুই বা তিনটি বোতাম থাকে এবং অনেক মাউসে একটি স্ক্রল হুইলও থাকে, যা স্ক্রিনে উপরের বা নিচের দিকে নেভিগেট করতে সাহায্য করে।
কম্পিউটারে মাউস ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর কাজ আরও দ্রুত এবং সহজ হয়, তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস হিসেবে বিবেচিত।
মাউসের অপর নাম কি?
মাউসের অপর নাম হলো “পয়েন্টিং ডিভাইস” (Pointing Device)। এটি কম্পিউটারে নির্দেশনা প্রদান এবং কার্সর নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়। মাউসের মাধ্যমে ব্যবহারকারী স্ক্রিনে বিভিন্ন বস্তুর উপর ক্লিক করতে, টেনে আনতে এবং বিভিন্ন ফাংশন চালাতে পারে। এর সাহায্যে সহজে নেভিগেশন এবং কম্পিউটার ব্যবহারের কাজ করা যায়।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট কি? Internet এর পূর্ণরূপ কী? ইন্টারনেট কে আবিষ্কার করেন?
মাউস এর বিভিন্ন অংশ কি কি?
মাউসের বিভিন্ন অংশ নিম্নরূপ:
- বাম বোতাম (Left Button): এটি মাউসের প্রধান বোতাম, যা ক্লিক করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- ডান বোতাম (Right Button): এটি মূলত বিকল্প মেনু বা অতিরিক্ত অপশন দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
- স্ক্রল হুইল (Scroll Wheel): মাউসের মাঝখানে অবস্থিত, যা স্ক্রিনে উপরে-নিচে স্ক্রল করতে সহায়তা করে।
- কার্সর সেন্সর (Optical/Laser Sensor): মাউসের নিচের অংশে থাকে, এটি পৃষ্ঠের উপর মাউসের গতি সনাক্ত করে এবং কার্সর নিয়ন্ত্রণ করে।
- কেবল বা ওয়্যারলেস সিগন্যাল (Cable/Wireless Transmitter): ওয়্যারড মাউসে কেবল থাকে যা কম্পিউটারে সংযোগ করে, আর ওয়্যারলেস মাউসে ব্লুটুথ বা RF সিগন্যাল ব্যবহার করে সংযোগ স্থাপন করা হয়।
- মাউসের দেহ (Body/Frame): এটি মাউসের পুরো কাঠামো ধারণ করে এবং ব্যবহারকারী এটি ধরে কাজ করে।
এই অংশগুলো একত্রে কাজ করে মাউসের সঠিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।
মাউস কোন ধরণের ডিভাইস?
মাউস একটি ইনপুট ডিভাইস। এটি ব্যবহারকারী থেকে কম্পিউটারে তথ্য বা নির্দেশনা প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত হয়। মাউসের মাধ্যমে ব্যবহারকারী স্ক্রিনের কার্সর নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন কমান্ড দিতে পারে, যেমন ফাইল নির্বাচন করা, প্রোগ্রাম চালানো, এবং নেভিগেশন করা।
মাউসের জনক কে?
মাউসের জনক হলেন ডগলাস এঙ্গেলবার্ট (Douglas Engelbart)। তিনি ১৯৬০ সালের দিকে প্রথম কম্পিউটার মাউসের ধারণা ও ডিজাইন উদ্ভাবন করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি কাঠের তৈরি প্রথম মাউস তৈরি করেন, যা ছিল দুটি চাকাযুক্ত। ডগলাস এঙ্গেলবার্টের এই উদ্ভাবন কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসে।
মাউস কত প্রকার ও কি কি?
মাউস মূলত কয়েকটি প্রকারে বিভক্ত, এবং এর ধরনগুলো ব্যবহার ও প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। মাউস প্রধানত ৫ প্রকারের:
১. মেকানিক্যাল মাউস: এই মাউসের নীচে একটি রাবারের বল থাকে, যা গতি সনাক্ত করে এবং কার্সর নিয়ন্ত্রণ করে।
২. অপটিক্যাল মাউস: আলো বা লেজারের মাধ্যমে কাজ করে। এটি কোনো বল ব্যবহার করে না এবং বেশি নির্ভুল।
৩. লেজার মাউস: লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপটিক্যাল মাউসের মতোই কাজ করে, কিন্তু আরও বেশি নির্ভুল।
৪. ওয়্যারলেস মাউস: ব্লুটুথ বা RF (Radio Frequency) এর মাধ্যমে কাজ করে, তারবিহীন হওয়ায় এটি বেশি সুবিধাজনক।
৫. গেমিং মাউস: দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং উচ্চতর সেন্সর সহ, বিশেষত গেম খেলার জন্য ডিজাইন করা।
এই বিভিন্ন প্রকারের মাউস তাদের ব্যবহার ও প্রযুক্তিগত উন্নতির ওপর ভিত্তি করে বেছে নেওয়া হয়।
মাউস এর কাজ কি?
মাউসের প্রধান কাজ হলো কম্পিউটারে ব্যবহারকারীর নির্দেশনা প্রদান করা এবং বিভিন্ন কাজ সম্পাদনে সহায়তা করা। মাউসের মাধ্যমে নিম্নলিখিত কাজগুলো করা যায়:
- কার্সর নিয়ন্ত্রণ: স্ক্রিনে কার্সর সরানো এবং নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যাওয়া।
- ক্লিক করা: ফাইল, ফোল্ডার, বা প্রোগ্রাম খুলতে এক বা ডাবল ক্লিক করা।
- ড্র্যাগ ও ড্রপ: কোনো ফাইল বা বস্তু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া।
- স্ক্রল করা: স্ক্রিনে উপরে বা নিচে যাতায়াত করতে স্ক্রল হুইল ব্যবহার করা।
- টেক্সট নির্বাচন: ডকুমেন্ট বা ওয়েব পেজে টেক্সট বা ছবি নির্বাচন করা।
মাউস ব্যবহার করে কম্পিউটার সহজে এবং দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
মাউসের দাম
মাউসের দাম মডেল, ব্র্যান্ড, প্রযুক্তি এবং ফিচারের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়। সাধারণত মাউসের দাম নিম্নরূপ:
- সাধারণ মেকানিক্যাল বা অপটিক্যাল মাউস: ৩০০ – ৫০০ টাকা।
- ওয়্যারলেস মাউস: ৬০০ – ১৫০০ টাকা।
- গেমিং মাউস: ১৫০০ – ৫,০০০ টাকা বা তার বেশি, উচ্চমানের সেন্সর এবং বিশেষ ফিচার থাকলে দাম আরও বেশি হতে পারে।
- ব্র্যান্ডেড মাউস (Logitech, HP, Dell ইত্যাদি): ৫০০ – ৩০০০ টাকা বা তার বেশি।
দামের এই ভিন্নতা নির্ভর করে মাউসের প্রযুক্তি, সংযোগ পদ্ধতি (ওয়্যারড বা ওয়্যারলেস), এবং এর বিশেষ ফিচারের ওপর।
অরিজিনাল ট্রাকবল, ওয়্যারলেস অপটিক্যাল মাউস এর দাম
অরিজিনাল ট্র্যাকবল (Trackball) মাউস এবং ওয়্যারলেস অপটিক্যাল মাউস এর দাম ব্র্যান্ড এবং ফিচারের ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত:
অরিজিনাল ট্র্যাকবল মাউস:
- দাম: ২০০০ – ৭০০০ টাকা বা তার বেশি।
- দাম ব্র্যান্ড (যেমন Logitech, Kensington) এবং এর বিশেষ ফিচারের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। উচ্চমানের এবং নির্ভুল ট্র্যাকবল মাউসের দাম বেশি হয়।
ওয়্যারলেস অপটিক্যাল মাউস:
- দাম: ৬০০ – ২০০০ টাকা।
- সাধারণ ওয়্যারলেস অপটিক্যাল মাউসের দাম কম থাকে, তবে উন্নত ফিচার এবং ব্র্যান্ডেড মডেলের ক্ষেত্রে দাম বেশি হতে পারে।
এগুলো কেনার সময় পণ্যের ফিচার এবং ব্র্যান্ড যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে দীর্ঘস্থায়ী এবং ভাল মানের পণ্য পাওয়া যায়।
ওয়্যারলেস / ব্লুটুথ মাউস এর দাম
ওয়্যারলেস বা ব্লুটুথ মাউসের দাম বিভিন্ন ব্র্যান্ড, মডেল এবং ফিচারের উপর নির্ভর করে। সাধারণত বাংলাদেশে ওয়্যারলেস মাউসের দাম নিচের মতো হতে পারে:
- সাধারণ ওয়্যারলেস মাউস: ৳৪০০ থেকে ৳১,০০০+
- ব্লুটুথ মাউস: ৳৮০০ থেকে ৳২,০০০+
- প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড (Logitech, HP, etc.): ৳১,৫০০ থেকে ৳৪,০০০+
- গেমিং মাউস (ওয়্যারলেস): ৳২,০০০ থেকে ৳৮,০০০+
বাজার বা অনলাইন স্টোর ভেদে দামে ভিন্নতা থাকতে পারে।
জনপ্রিয় ১০ টি মাউসের দাম
বাংলাদেশে জনপ্রিয় মাউসের মডেল ও তাদের আনুমানিক দাম নিচে উল্লেখ করা হলো:
লজিটেক এম ১০৩লজিটেকের এই মাউসটি সাধারণ ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত এবং এর দাম প্রায় ৫০০ টাকা।
লজিটেক এম ২১০লজিটেকের এই মাউসটি আরামদায়ক ডিজাইন ও নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্সের জন্য পরিচিত, এবং এর দাম প্রায় ৬০০ টাকা।
লজিটেক এম ৩১০লজিটেকের এই ওয়্যারলেস মাউসটি আরামদায়ক ডিজাইন ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির জন্য জনপ্রিয়, এবং এর দাম প্রায় ৮০০ টাকা।
লজিটেক এম ৫১০লজিটেকের এই মাউসটি আরামদায়ক ডিজাইন ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির জন্য পরিচিত, এবং এর দাম প্রায় ১,২০০ টাকা।
লজিটেক এম ৫২০লজিটেকের এই মাউসটি আরামদায়ক ডিজাইন ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির জন্য পরিচিত, এবং এর দাম প্রায় ১,৫০০ টাকা।
লজিটেক এম ৫৩০লজিটেকের এই মাউসটি আরামদায়ক ডিজাইন ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির জন্য পরিচিত, এবং এর দাম প্রায় ১,৮০০ টাকা।
লজিটেক এম ৫৪০লজিটেকের এই মাউসটি আরামদায়ক ডিজাইন ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির জন্য পরিচিত, এবং এর দাম প্রায় ২,০০০ টাকা।
লজিটেক এম ৫৫০লজিটেকের এই মাউসটি আরামদায়ক ডিজাইন ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির জন্য পরিচিত, এবং এর দাম প্রায় ২,২০০ টাকা।
লজিটেক এম ৫৬০লজিটেকের এই মাউসটি আরামদায়ক ডিজাইন ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির জন্য পরিচিত, এবং এর দাম প্রায় ২,৪০০ টাকা।
লজিটেক এম ৫৭০লজিটেকের এই মাউসটি আরামদায়ক ডিজাইন ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির জন্য পরিচিত, এবং এর দাম প্রায় ২,৬০০ টাকা।
দামের তারতম্য মডেল, ফিচার এবং বাজারের উপর নির্ভর করে। সঠিক ও সর্বশেষ তথ্যের জন্য নির্দিষ্ট দোকান বা ওয়েবসাইটে পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মাউসের সুবিধা ও অসুবিধা
মাউস একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইস, যা ব্যবহারকারীদের স্ক্রীনে কোর্সর (pointer) নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এর কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে:
মাউসের সুবিধা:
- সহজ ব্যবহার:
- মাউস ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং এটি দ্রুত কিবোর্ডের চেয়ে অনেক বেশি প্রাকটিক্যাল। সাধারণভাবে কম্পিউটারে বিভিন্ন অপারেশন যেমন স্ক্রল করা, ক্লিক করা, ড্র্যাগ এবং ড্রপ করা, ইত্যাদি মাউসের মাধ্যমে করা যায়।
- দ্রুত নির্দেশনা:
- মাউস ব্যবহারকারীদের স্ক্রীনে কোর্সরের অবস্থান দ্রুত পরিবর্তন করার সুবিধা দেয়, যা ব্যবহারকারীদের জন্য সময় সাশ্রয়ী।
- গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং গেমিং:
- গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং গেমিংয়ের জন্য মাউস অত্যন্ত কার্যকরী। ড্রয়িং, পেইন্টিং, 3D মডেলিং বা গেমিং এর জন্য একটি ভালো মাউস প্রয়োজন।
- নেভিগেশন সুবিধা:
- মাউসের মাধ্যমে ইউজাররা খুব সহজে ওয়েব পেজ নেভিগেট করতে পারেন এবং ড্রপ-ডাউন মেনু ব্যবহার করতে পারেন।
- বিভিন্ন ফিচার:
- আধুনিক মাউসে অতিরিক্ত বাটন থাকে, যার মাধ্যমে অতিরিক্ত ফিচার যেমন এক্সট্রা ক্লিক, স্ক্রলিং ইত্যাদি করা যায়, যা কাজের গতি বাড়ায়।
মাউসের অসুবিধা:
- আঙ্গুলের ক্লান্তি:
- দীর্ঘ সময় মাউস ব্যবহার করলে আঙ্গুল এবং হাতের ক্লান্তি হতে পারে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটারে কাজ করেন, তাদের জন্য এটি এক সমস্যা হতে পারে।
- স্পেসের প্রয়োজন:
- মাউসের কার্যকরী ব্যবহার করতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ স্পেস প্রয়োজন হয়। কমপ্যাক্ট ডেস্কে কাজ করার সময় এর ব্যবহার একটু কষ্টকর হতে পারে।
- ডিপেন্ডেন্সি:
- মাউসের উপর অনেকটা নির্ভরশীলতা থাকে। যদি মাউসটি কাজ না করে বা কোন সমস্যা হয়, তবে এটি কাজের গতিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে।
- প্রযুক্তিগত সমস্যা:
- মাউসের প্রযুক্তিগত সমস্যা যেমন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া বা মাউস প্যাডের সাথে সমস্যা হওয়া মাউসের কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
- শারীরিক সমস্যা:
- দীর্ঘ সময় মাউস ব্যবহারের ফলে Repetitive Strain Injury (RSI) বা কারপাল টানেল সিনড্রোমের মতো শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, যা আঙ্গুল বা কবজির ব্যথা এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
উপসংহার
মাউস একটি অত্যন্ত উপযোগী ডিভাইস এবং অধিকাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য এটি অপরিহার্য। তবে, এর কিছু শারীরিক অসুবিধা এবং কাজের গতি সম্পর্কিত সমস্যা থাকতে পারে। কাজের ধরন অনুযায়ী, এটি খুবই সুবিধাজনক বা কখনও কখনও অসুবিধাজনক হতে পারে।