দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ, আরবি অর্থ, ফজিলত ও পড়ার নিয়ম

দোয়া কুনুত হলো বিশেষ একটি দোয়া যা সাধারণত বিতর নামাজে পাঠ করা হয়। এটি ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ দোয়াগুলির মধ্যে একটি এবং মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য, দয়া, ক্ষমা ও রক্ষা প্রার্থনার মাধ্যম। এই দোয়া মূলত বিতর নামাজের তৃতীয় রাকাতে রুকুতে যাওয়ার আগে অথবা রুকু থেকে উঠে পাঠ করা হয়। আজকে আমরা দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ, আরবি অর্থ, ফজিলত ও পড়ার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ

দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ | দোয়া কুনুত আরবি উচ্চারণ

দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ | দোয়া কুনুত আরবি উচ্চারণ নিচে দেওয়া হলো –

দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাইনুকা, ওয়া নাস্তাগফিরুকা, ওয়া নু’মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইকা, ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর, ওয়া নাশকুরুকা, ওয়া লা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলা’উ ওয়া নাতরুকু মাইয়্যাফজুরুকা। আল্লাহুম্মা ইইয়্যাকা নাআবুদু, ওয়া লাকা নুছল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাছ’আ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রহমাতাক, ওয়া নাখশা আযাবাক, ইন্না আযাবাকা বিল কুফফারি মূলহিক।

দোয়া কুনুত আরবি | দোআ কুনূত

اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ، وَنَسْتَغْفِرُكَ، وَنُؤْمِنُ بِكَ، وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ، وَنُثْنِي عَلَيْكَ الْخَيْرَ، وَنَشْكُرُكَ، وَلَا نَكْفُرُكَ، وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ، اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ، وَلَكَ نُصَلِّي، وَلَكَ نَسْجُدُ، وَإِلَيْكَ نَسْعَى، وَنَحْفِدُ، وَنَرْجُو رَحْمَتَكَ، وَنَخْشَى عَذَابَكَ، إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ.

দোয়া কুনুতের অর্থ (বাংলা) | দোয়া কুনুত বাংলা ছবি | দোয়ায়ে কুনুত বাংলা

“হে আল্লাহ! আমরা তোমার কাছে সাহায্য চাই, তোমার কাছে ক্ষমা চাই, তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করি, তোমার উপর ভরসা করি, তোমার সুনাম করি, তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এবং তোমার সাথে অকৃতজ্ঞতা করিনা। আমরা তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করি যারা তোমার অমান্য করে।
হে আল্লাহ! আমরা শুধুমাত্র তোমারই ইবাদত করি, তোমার জন্যই নামাজ পড়ি এবং তোমার সামনেই সিজদা করি। তোমার কাছেই ছুটে যাই এবং তাড়াতাড়ি করেই যাই। আমরা তোমার দয়া কামনা করি এবং তোমার শাস্তিকে ভয় করি। নিশ্চয়ই তোমার শাস্তি কাফিরদের জন্য আবদ্ধ।”

দোয়া কুনুত আরবি ও বাংলা

দোয়া কুনুতের আরবি ও বাংলা অনুবাদ নিম্নরূপ:

আরবি:
اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنَسْتَهْدِيكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِي عَلَيْكَ الْخَيْرَ كُلَّهُ نَشْكُرُكَ وَلَا نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ، اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّي وَنَسْجُدُ وَإِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ نَرْجُو رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحَقٌ.

বাংলা অনুবাদ: হে আল্লাহ, আমরা আপনার সাহায্য প্রার্থনা করি, আপনার ক্ষমা চাই, আপনার দিকনির্দেশনা চাই, আমরা আপনার প্রতি ঈমান এনেছি, আপনার উপর নির্ভর করি, এবং আপনার প্রশংসা করি সকল ভালো কাজে। আমরা আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই এবং আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করি না। যারা আপনার অবাধ্য হয়, তাদের থেকে আমরা বিরত থাকি এবং তাদেরকে ত্যাগ করি। হে আল্লাহ, আমরা একমাত্র আপনারই ইবাদত করি, আপনার জন্যই সালাত পড়ি এবং সিজদা করি, আপনারই দিকে অগ্রসর হই। আমরা আপনার রহমতের প্রত্যাশা করি এবং আপনার শাস্তিকে ভয় করি, নিশ্চয় আপনার শাস্তি অবিশ্বাসীদের জন্য নির্ধারিত।

দোয়া কুনুতের ফজিলত

দোয়া কুনুতের বিশেষ কিছু ফজিলত রয়েছে যা আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক উপকার নিয়ে আসে। এখানে তার কয়েকটি উল্লেখ করা হলো:

১. আল্লাহর সাহায্য প্রাপ্তির মাধ্যম:

দোয়া কুনুতের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সাহায্য চাই এবং তাঁকে একমাত্র ভরসা হিসেবে গ্রহণ করি। দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছ থেকে শক্তি, সাহস ও সাহায্য লাভ করা যায়, যা বিভিন্ন সংকট মোকাবিলায় সাহায্য করে।

২. ক্ষমা প্রার্থনা:

এই দোয়ায় আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়, যা আমাদের পাপগুলো মাফ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের ভুল-ত্রুটির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই এবং ভবিষ্যতে তার ওপর ভরসা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই।

৩. ইমান ও ভরসার প্রকাশ:

দোয়া কুনুত পাঠ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের ইমান ও আল্লাহর প্রতি ভরসা প্রকাশ করি। আমরা ঘোষণা করি যে আমাদের জীবনের সব কিছু আল্লাহর ইচ্ছাধীন এবং আমরা তারই ইবাদতকারী।

৪. দয়ালু ও ক্ষমাশীল হওয়ার আহ্বান:

দোয়া কুনুত পাঠ করার সময় আমরা আল্লাহর রহমত কামনা করি এবং তার শাস্তির ভয় পাই। এই দোয়া আমাদের অন্তরে দয়া ও বিনম্রতা গড়ে তোলে এবং আমাদেরকে আল্লাহর কাছে ক্ষমাশীল হওয়ার আহ্বান জানায়।

৫. বিতর নামাজের ফজিলত বৃদ্ধি:

বিতর নামাজ হলো সুন্নত মুআক্কাদা, এবং বিতর নামাজের মধ্যে দোয়া কুনুত পাঠ করা আল্লাহর নিকট অনেক বেশি প্রিয়। এটি আমাদের নামাজের পূর্ণতা বাড়ায় এবং নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর আরও নৈকট্য লাভ করা যায়।

আরও পড়ুন: দরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ | দূরুদ শরিফ আরবি ও বাংলা

দোয়া কুনুত পড়ার নিয়ম

দোয়া কুনুত সাধারণত বিতর নামাজের তৃতীয় রাকাতে রুকুতে যাওয়ার আগে অথবা রুকু থেকে উঠে পাঠ করা হয়। তবে বেশ কিছু মাযহাবে এটি কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। নিচে বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পাঠ করার সঠিক নিয়ম উল্লেখ করা হলো:

১. তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য কোনো সূরা পাঠ করা:

বিতর নামাজের তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি ছোট সূরা (যেমন সূরা ইখলাস) পাঠ করা হয়।

2. তৃতীয় রাকাতে রুকুতে যাওয়ার আগে কুনুত পাঠ করা:

যদি আপনি রুকুতে যাওয়ার আগে দোয়া কুনুত পাঠ করতে চান, তাহলে ফাতিহা এবং সূরা পড়ার পর হাত উঠিয়ে তাকবীর বলুন (আল্লাহু আকবার) এবং কুনুত দোয়া পড়ুন।

৩. রুকু থেকে ওঠার পরে কুনুত পড়া (হানাফি মতে):

হানাফি মতে, রুকু থেকে ওঠার পর এবং “রব্বানা লাকা-ল-হামদ” বলার পরে দোয়া কুনুত পড়া হয়। এই অবস্থায় হাতে হাত বাঁধা থাকে এবং এরপর দোয়া কুনুত সম্পন্ন করা হয়।

৪. দোয়া কুনুত শেষে রুকুতে যাওয়া:

দোয়া কুনুত শেষ করার পর রুকুতে যান এবং তারপর স্বাভাবিকভাবে নামাজের বাকি অংশ সম্পন্ন করুন।

দোয়া কুনুতের অন্যান্য ব্যবহার

দোয়া কুনুত বিতর নামাজ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে পাঠ করা যায়। বিশেষত, কোনো বিপদ বা সংকটময় পরিস্থিতিতে, যুদ্ধ বা মহামারি চলাকালীন মুসলিমরা এই দোয়া পাঠ করতে পারেন। দোয়া কুনুতের বিশেষ আবেদন হলো আল্লাহর সাহায্য, দয়া এবং ক্ষমা প্রার্থনা। এটি পড়ার মাধ্যমে যেকোনো কঠিন সময়ে আল্লাহর কাছ থেকে শক্তি ও সহায়তা লাভ করা যায়।

দোয়া কুনুত শুধুমাত্র ফজর নামাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি আরও বিভিন্ন বিধি ও পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়। ইসলামে দোয়া কুনুতের বিভিন্ন ব্যবহার ও পরিস্থিতি রয়েছে, যেখানে এটি আল্লাহর কাছে বিশেষ প্রার্থনা হিসেবে করা হয়।

১. ফজর নামাজের মধ্যে (সুন্নত):

ফজর নামাজের ২য় রাকআতে কায়ামে অবস্থায় দোয়া কুনুত পড়া হয়, যা সুন্নত মোকাদ্দা হিসেবে বিবেচিত। এটি বিশেষ করে বিপদ ও দুর্দশার সময়ে আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়।

২. বিশেষ দুর্দশা বা বিপদে (দোয়া কুনুত নাযিলা):

দোয়া কুনুত নাযিলা এমন এক দোয়া যা কোনো বিশেষ বিপদ বা বিপর্যয়ে (যেমন: যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক বিপদ) পড়লে বিশেষভাবে পড়া হয়। এই দোয়া কুনুত বিশেষ পরিস্থিতিতে আল্লাহর কাছে রক্ষা ও সাহায্য চাওয়ার জন্য করা হয়।

  • উদাহরণস্বরূপ, নবী (সা.) যখন ইসলামি রাষ্ট্রে বিপদে পড়েছিলেন, তখন তিনি এই দোয়া পড়েছিলেন।
  • এমনকি কোনো মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর কোনো অত্যাচার হলে, সেসময়ও এই দোয়া পড়া হয়।

৩. রাতের নামাজ (তাহাজ্জুদ) এর মধ্যে:

রাতের তাহাজ্জুদ নামাজে বিশেষভাবে দোয়া কুনুত পড়া যায়, যদিও এটি প্রথাগত নয়। তাতে বিশেষ প্রার্থনা করতে ও আল্লাহর কাছে একান্তভাবে অনুগ্রহ চাওয়ার উদ্দেশ্যে কুনুত পড়া হয়।

৪. পিতার জন্য দোয়া কুনুত (বিশেষ পারিবারিক কারণে):

কিছু ক্ষেত্রে, যদি কোনো মুসলিম পরিবারের সদস্য (যেমন: বাবা, মাতা, সন্তান) কোনো বিপদের মুখে পড়েন, তবে আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার জন্য দোয়া কুনুত পড়া যেতে পারে।

৫. কোন মুসলিম সম্প্রদায়ের দুর্দশার জন্য:

যখন কোনো মুসলিম সম্প্রদায় কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যায়, যেমন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা সামাজিক সমস্যায় পড়লে, সেসময়ও দোয়া কুনুত একত্রে বা পৃথকভাবে পড়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে পুরো মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা হয়।

দোয়া কুনুত একটি বিশেষ প্রার্থনা যা শুধুমাত্র ফজর নামাজেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বিশেষ পরিস্থিতি যেমন বিপদ, দুর্ভোগ, বিপর্যয় বা মুসলিম সম্প্রদায়ের সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি একটি বিশ্বজনীন প্রার্থনা যা মুসলমানদের দুর্দশা থেকে মুক্তি এবং আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করার জন্য অন্যতম পন্থা।

দোয়া কুনুত কখন পড়তে হয়

দোয়া কুনুত সাধারণত বিদ্বেষের নামাজের (উত্তম প্রার্থনার জন্য) অংশ হিসেবে এবং বিদ্বেষহীন বিশেষ মাগফিরাতের জন্য ফজরের শেষ রাকাতে পড়া হয়। এটি মূলত উত্তরীয় রাকাতে, অর্থাৎ রুকুর পরে, ফজরের সালাতের দ্বিতীয় রাকাতে রুকু থেকে ওঠার পর হাত তুলে পড়তে হয়।

তবে বিশেষ অবস্থায়, যেমন কুনুতে নাযিলা, অর্থাৎ বিপদে, যুদ্ধ বা দুর্যোগকালে, বিভিন্ন সময় এই দোয়াটি পড়া হয়। এ দোয়া আল্লাহর কাছে সাহায্য ও মাগফিরাত কামনার জন্য পাঠ করা হয়, বিশেষ করে বিপদের সময়ে।

দোআ কুনুত না পড়লে কি হয়?

দোয়া কুনুত হলো একটি বিশেষ দোয়া যা নামাজের মধ্যে বিশেষ করে ফজর নামাজের ২য় রাকআতের কায়াম (কায়ামে) অবস্থায় পড়া হয়। এটি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত দোয়া, তবে এটি ফরজ নয়। এর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য, ক্ষমা এবং নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করা হয়।

দোয়া কুনুত না পড়লে কী হয়?

  1. ফরজ নামাজের কোনো ক্ষতি হয় না
    দোয়া কুনুত ফরজ নয়, বরং সুন্নত। অতএব, এটি না পড়লেও আপনার নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না এবং নামাজ বৈধ থাকবে। কেবল এটি সুন্নত হিসাবে অতিরিক্ত দোয়া হিসেবে পড়া হয়।
  2. সুন্নত উপেক্ষা করা
    যদিও দোয়া কুনুত ফরজ নয়, এটি সুন্নত মোকাদ্দা (যা খুবই গুরুত্ব সহকারে পালন করা উচিত) এবং নবী (সা.) এর প্রথা অনুসরণ করা উচিত। তবে, এটি না পড়লে কোনো পাপ বা কঠিন শাস্তি হবে না, কিন্তু সুন্নত ইবাদত থেকে বঞ্চিত হবেন
  3. দোয়া কুনুত পড়ার উদ্দেশ্য
    দোয়া কুনুত পড়ার মাধ্যমে এক ধরনের আল্লাহর কাছ থেকে সাহায্য ও নিরাপত্তা চাওয়া হয়, বিশেষত বিপদ বা দুর্ভোগের মুহূর্তে। এটি মুমিনের আল্লাহর প্রতি আত্মবিশ্বাস এবং সমর্পণের চিহ্ন

দোয়া কুনুত ফরজ নয়, তবে এটি সুন্নত এবং একটি অত্যন্ত বিশেষ দোয়া যা ফজর নামাজে পড়া হয়। এটি না পড়লেও আপনার নামাজ আদায় হবে এবং এটি আপনার নামাজের শুদ্ধতায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। তবে সুন্নত হিসেবে এটি পড়া এক ধরনের নেকি এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা হিসেবে গুরুত্ব বহন করে।

উপসংহার

দোয়া কুনুত হলো মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া, যা বিতর নামাজের সময় বিশেষভাবে পাঠ করা হয়। এর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য, ক্ষমা, দয়া ও নিরাপত্তার প্রার্থনা করা হয়। দোয়া কুনুতের ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। যারা নিয়মিত এই দোয়া পাঠ করেন, তারা আল্লাহর রহমত লাভ করেন এবং তাদের দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
নিয়মিতভাবে এই দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনে আল্লাহর কাছ থেকে সাহায্য এবং কল্যাণ লাভ করতে পারি, যা আমাদের ইহকাল ও পরকাল উভয় ক্ষেত্রেই সফলতা বয়ে আনবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top