তায়াম্মুমের ফরয কয়টি ও কী কী? তায়াম্মুমের সুন্নত কয়টি? তায়াম্মুমের নিয়ম

তায়াম্মুম হলো এমন একটি পদ্ধতি, যা পানির অভাবে বা পানির ব্যবহার করা অসম্ভব হলে, পবিত্রতা অর্জনের জন্য মুসলিমরা ব্যবহার করে। এটি সাধারণত নামাজ বা অন্যান্য ইবাদতের আগে করা হয় যখন ওযু বা গোসলের জন্য পানি পাওয়া যায় না, অথবা পানি ব্যবহার করলে শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। আজকে আমরা তায়াম্মুমের ফরয কয়টি ও কী কী? তায়াম্মুমের সুন্নত কয়টি? তায়াম্মুমের নিয়ম, শর্ত ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

তায়াম্মুমের ফরয কয়টি

তায়াম্মুম শব্দের অর্থ কি?

“তায়াম্মুম” শব্দটি আরবি “عمم” (আম্মা) থেকে উৎপন্ন, যার অর্থ হলো “লক্ষ্য করা” বা “উদ্দেশ্য করা”। ইসলামী পরিভাষায়, তায়াম্মুমের অর্থ হলো, পানি ব্যবহার না করতে পারার কারণে মাটি বা মাটি জাতীয় কিছু দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা। এটি মূলত নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, এবং অন্যান্য ইবাদত করার জন্য পবিত্রতা অর্জনের একটি পদ্ধতি, যখন পানি ব্যবহার করা সম্ভব না হয়। এটি সাধারণভাবে শরীয়তে পবিত্রতা অর্জনের একটি বিকল্প উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

তায়াম্মুম হলো এক ধরনের পবিত্রতা অর্জন পদ্ধতি যা পানি না পাওয়া বা পানি ব্যবহারে অক্ষম হলে মুসলমানরা ব্যবহার করেন। এটি কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং সুন্নাহর মাধ্যমে বাস্তবায়িত।

কুরআনের আয়াত:
তায়াম্মুমের বিষয়টি সূরা নিসা (৪:৪৩) এবং সূরা মায়িদা (৫:৬) আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সূরা মায়িদা (৫:৬) আয়াতের ব্যাখ্যা:

“হে বিশ্বাসীরা! যখন তোমরা নামাজ পড়তে যাবে, তখন যদি কোনো পানি না পাও, তবে পরিস্কার মাটির ওপর হস্তমৈথুন করো এবং তোমাদের মুখ ও হাত মাটিতে মুছে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।”

এই আয়াতে তায়াম্মুমের বিধান দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, যদি কোনো মুসলিম পানি না পায় বা ব্যবহার করতে অক্ষম হয় (যেমন অসুস্থতার কারণে), তখন তিনি মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করতে পারেন।

তায়াম্মুমের ফরয কয়টি ও কী কী? তায়াম্মুমের তিন ফরজ কি কি?

তায়াম্মুমের ফরয কয়টি: তায়াম্মুমের ফরয মোট ৩টি। এগুলো হলো:

  1. নিয়ত করা: আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তায়াম্মুম করার নিয়ত করতে হবে। যেমন, নামাজ বা কুরআন তিলাওয়াতের জন্য পবিত্রতা অর্জন করা।
  2. মাটি বা মাটি জাতীয় পবিত্র বস্তুতে হাত মারা: পবিত্র মাটি বা ধূলাবালি জাতীয় কোনো বস্তুতে দুই হাত একবার মারতে হবে। এই মাটি বা বস্তু হতে হবে পবিত্র ও পরিষ্কার।
  3. মুখমণ্ডল ও হাত মুছা: প্রথমে মুখমণ্ডল মুছতে হবে, এরপর হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত মুছতে হবে।

এই তিনটি ফরয তায়াম্মুমের জন্য অবশ্যই পালন করতে হবে। এর মাধ্যমে সাময়িকভাবে পবিত্রতা অর্জন করা যায়, যখন পানি পাওয়া সম্ভব নয় বা ব্যবহার করা কঠিন হয়।

তায়াম্মুমের সুন্নত কয়টি ও কি কি?

তায়াম্মুমের সুন্নত রয়েছে ৫টি। এগুলো হলো:

  1. বিসমিল্লাহ বলা: তায়াম্মুম শুরু করার আগে “বিসমিল্লাহ” বলা সুন্নত।
  2. দুই হাত মাটি বা ধূলায় রাখা এবং ঝেড়ে নেওয়া: দুই হাত মাটিতে বা ধূলায় একবার রাখার পর হালকা ঝেড়ে নেওয়া, যাতে অতিরিক্ত মাটি বা ধূলা হাত থেকে পড়ে যায়।
  3. প্রথমে ডান হাত মুছা, তারপর বাঁ হাত মুছা: মুখমণ্ডল মুছার পর প্রথমে ডান হাতের বাহু মুছা এবং এরপর বাঁ হাতের বাহু মুছা সুন্নত।
  4. মাটিতে হাত মারার সময় আঙ্গুলগুলো খোলা রাখা: মাটিতে হাত রাখার সময় আঙ্গুলগুলো একটু ফাঁক রাখা, যাতে মাটি বা ধূলা ভালোভাবে লেগে থাকে।
  5. নিরবচ্ছিন্নভাবে তায়াম্মুম করা: মাঝখানে বিরতি না দিয়ে ধারাবাহিকভাবে মুখমণ্ডল এবং হাত মুছা।

এসব সুন্নত পালনের মাধ্যমে তায়াম্মুমের আদায় আরও পূর্ণতা পায় এবং সঠিক নিয়মে হয়।

তায়াম্মুমের শর্ত কি কি?

তায়াম্মুমের জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। এগুলো হলো:

  1. পানি না পাওয়া: তায়াম্মুম করার জন্য প্রথম শর্ত হলো, পানি পাওয়া না যাওয়া। অর্থাৎ, যদি পানি পাওয়া যায় বা ব্যবহার করা সম্ভব হয়, তাহলে তায়াম্মুমের প্রয়োজন নেই।
  2. পানির ব্যবহার করা বিপজ্জনক না হওয়া: যদি পানি ব্যবহার করার ফলে কোনো শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে (যেমন: অসুস্থতা, জ্বরে আক্রান্ত হওয়া, অথবা অন্য কোনো সমস্যা), তাহলে তায়াম্মুম করা বৈধ।
  3. মাটি বা ধূলার পবিত্রতা: তায়াম্মুম করার জন্য যে মাটি বা ধূলা ব্যবহার করা হবে, তা অবশ্যই পবিত্র হতে হবে। অশুদ্ধ বা নাপাক কিছু দিয়ে তায়াম্মুম করা যাবে না।
  4. নিয়ত করা: তায়াম্মুম করার আগে নিয়ত করতে হবে যে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশ্যে তায়াম্মুম করছেন।
  5. ইবাদত করার উদ্দেশ্য: তায়াম্মুমের উদ্দেশ্য হতে হবে নামাজ বা অন্য কোনো ইবাদত, যাতে পবিত্রতা প্রয়োজন হয়।

এসব শর্ত পালন করলে তায়াম্মুম করা যাবে এবং তা ইসলামি বিধান অনুযায়ী সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে।

তায়াম্মুমের নিয়ম | তায়াম্মুম করার নিয়ম

তায়াম্মুমের নিয়ম নিচে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলো:

  1. নিয়ত করা: তায়াম্মুম শুরু করার আগে মনে মনে নিয়ত করতে হবে যে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং পবিত্রতা অর্জনের জন্য তায়াম্মুম করছেন। নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, বা অন্য ইবাদতের জন্য পবিত্রতা অর্জনের নিয়ত করতে হবে।
  2. বিসমিল্লাহ বলা: নিয়ত করার পর “বিসমিল্লাহ” বলে তায়াম্মুম শুরু করা সুন্নত।
  3. দুই হাত মাটিতে বা ধূলায় রাখা: দুই হাত পবিত্র মাটি, ধূলা, বা মাটি জাতীয় কোনো পবিত্র বস্তুতে একবার মারতে হবে।
  4. হাত ঝেড়ে নেওয়া: মাটি বা ধূলা থেকে হাত তুলে হালকা ঝেড়ে নিন, যাতে অতিরিক্ত মাটি বা ধূলা পড়ে যায়।
  5. মুখমণ্ডল মুছা: দুই হাত দিয়ে মুখমণ্ডল মুছতে হবে, যেন মুখের সমস্ত অংশ তায়াম্মুমে আচ্ছাদিত হয়।
  6. আবার হাত মাটিতে মারুন: দ্বিতীয়বার দুই হাত মাটিতে মারতে হবে।
  7. হাতের বাহু মুছা: প্রথমে ডান হাত দিয়ে বাঁ হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত মুছবেন। এরপর বাঁ হাত দিয়ে ডান হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত মুছবেন।

এই নিয়মগুলো মেনে চললে তায়াম্মুম সম্পন্ন হবে এবং তা সাময়িকভাবে ওযুর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে, যখন পানি পাওয়া যাবে না বা পানি ব্যবহার করা সম্ভব নয়।

তায়াম্মুম ভঙ্গের কারণ কয়টি?

তায়াম্মুম ভঙ্গের কারণগুলো সাধারণত তিনটি। এগুলো হলো:

  1. যে কারণে ওযু ভেঙে যায়: তায়াম্মুম করার পর যদি এমন কিছু ঘটে যা সাধারণত ওযু ভঙ্গের কারণ হয় (যেমন: পেশাব-পায়খানা করা, বায়ু নির্গত হওয়া, ঘুমিয়ে পড়া ইত্যাদি), তাহলে তায়াম্মুমও ভেঙে যাবে।
  2. পানি পাওয়া গেলে: তায়াম্মুম করার পর যদি এমন সময় পানি পাওয়া যায় এবং তা ব্যবহার করার জন্য কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকে, তাহলে তায়াম্মুম ভেঙে যাবে। অর্থাৎ, পানির উপস্থিতিতে তায়াম্মুমের বৈধতা আর থাকবে না, ওযু করতে হবে।
  3. যে অসুস্থতার কারণে তায়াম্মুম করা হয়েছিল, তা সেরে যাওয়া: যদি কেউ অসুস্থতার কারণে তায়াম্মুম করে থাকেন এবং পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে যান, যাতে পানি ব্যবহার করতে সমস্যা না হয়, তবে তায়াম্মুম বাতিল হয়ে যাবে। তখন পানি দিয়ে ওযু বা গোসল করতে হবে।

এই তিনটি কারণের যেকোনো একটি ঘটলে তায়াম্মুম ভেঙে যাবে, এবং পুনরায় পবিত্রতা অর্জনের জন্য ওযু করতে হবে (পানি পাওয়া গেলে) বা আবার তায়াম্মুম করতে হবে।

তায়াম্মুমের বিধান কোন সূরায়

তায়াম্মুমের বিধান কুরআনের দুটি সূরায় উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো:

  1. সূরা আন-নিসা (৪:৪৩): আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:

“আর যদি তোমরা অসুস্থ হও কিংবা সফরে থাকো অথবা তোমাদের কেউ প্রস্রাব-পায়খানা থেকে আসে কিংবা তোমরা নারীদের সাথে মিলিত হও এবং যদি পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করো। তোমাদের মুখমণ্ডল এবং হাত মুছো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।”

  1. সূরা আল-মায়েদাহ (৫:৬): আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:

“আর যদি তোমরা অসুস্থ হও বা সফরে থাকো, অথবা তোমাদের কেউ প্রস্রাব-পায়খানা থেকে আসে, অথবা তোমরা নারীদের সাথে মিলিত হও এবং যদি পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করো। তোমাদের মুখমণ্ডল এবং হাত মুছো।”

এই আয়াতগুলোর মাধ্যমে তায়াম্মুমের বিধান এবং তা করার পদ্ধতি সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, বিশেষত এমন পরিস্থিতিতে যখন পানি পাওয়া সম্ভব নয় বা পানি ব্যবহার করা অসুবিধাজনক।

তায়াম্মুমের ফজিলত

তায়াম্মুমের ফজিলত বা উপকারিতা ইসলামী শরিয়তে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে। যখন কোনো মুসলমান পানির অভাব বা অসুস্থতার কারণে উপস্থিত পানি ব্যবহার করতে অক্ষম হন, তখন তায়াম্মুম তাদের জন্য একটি সহজ এবং আল্লাহর তরফ থেকে একধরনের সহানুভূতি।

তায়াম্মুমের ফজিলত:

  1. আল্লাহর দয়া ও ক্ষমাশীলতা:
    • তায়াম্মুম আল্লাহর পক্ষ থেকে একধরনের ক্ষমাশীলতা এবং দয়া হিসেবে দেখা হয়। কুরআন (সূরা মায়িদা, ৫:৬) তে বলা হয়েছে, “নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু”। আল্লাহ তায়াম্মুমের মাধ্যমে মুসলমানদের পানির অভাবে নামাজ আদায় করতে সক্ষম করেছেন।
  2. উপযুক্ত পরিস্থিতিতে বিকল্প উপায়:
    • তায়াম্মুম একটি সহজ উপায়, যা পবিত্রতার জন্য ব্যবহৃত হয়, যদি কোন ব্যক্তি পানি পেতে বা ব্যবহার করতে অক্ষম হয়। এটি ইসলামে সহজতা এবং সহানুভূতির একটি প্রকাশ।
  3. ধর্মীয় দায়িত্ব পালন:
    • তায়াম্মুম মুসলমানদের নামাজ ও অন্যান্য ইবাদত সম্পাদনের সুযোগ প্রদান করে। পানি না পাওয়ার কারণে নামাজে বিরতি বা অনুপস্থিতি তৈরি না হওয়ার জন্য এটি একটি উপযুক্ত বিকল্প।
  4. আল্লাহর সন্তুষ্টি:
    • তায়াম্মুমের মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর নির্দেশ পালন করে, যা তাকে আল্লাহর সন্তুষ্টির দিকে পরিচালিত করে। এটি প্রতিদিনের জীবন ও ইবাদতকে সহজ করে দেয়, কারণ ইসলামে কঠিনতা নয়, সহজতা ও সহানুভূতির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
  5. এটা সুন্নাহ:
    • তায়াম্মুম করতে বলা হয়েছে ইসলামের সুন্নাহ অনুসারে, যা মুসলমানদের জন্য সঠিক পদ্ধতিতে ইবাদত ও ধর্মীয় জীবনযাপন নিশ্চিত করে।

তায়াম্মুম কখন করতে হয়?

তায়াম্মুম হল এক প্রকারের পবিত্রতা অর্জন পদ্ধতি, যা বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে অবশ্যই করতে হয়, যখন পানি ব্যবহার করা সম্ভব না হয়। তায়াম্মুমের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা হয়, যাতে নামাজ বা অন্যান্য ইবাদত করা যায়।

🕌 তায়াম্মুম করতে হয় এমন পরিস্থিতি:

  1. পানি পাওয়া না গেলে
    যদি আপনি এমন স্থানে থাকেন যেখানে পানি পাওয়া সম্ভব না হয় বা পানি অব্যবহারযোগ্য (অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি পাওয়ার পর) তখন তায়াম্মুম করা হয়।
  2. পানি ব্যবহারে শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা
    যদি পানি ব্যবহারে আপনার শরীরে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, যেমন আপনি অসুস্থ হলে অথবা শারীরিক অবস্থার কারণে পানি ব্যবহার করা বিপজ্জনক মনে হয়।
  3. পানি নিঃশেষিত হয়ে গেছে
    যদি আপনার কাছে পানি থাকে তবে তা যদি পুরোপুরি শেষ হয়ে যায় বা পানি পাওয়ার কোনো উপায় না থাকে, তখনও তায়াম্মুম করতে হয়।
  4. অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি
    যদি পানি ব্যবহার করতে কোনো বাধা থাকে, যেমন পিপঁড়ে বা বাঘের কাছাকাছি অবস্থান অথবা খুব শীতল পরিবেশে পানির ব্যবহার তাত্ক্ষণিক বিপদ ডেকে আনতে পারে।

📝 তায়াম্মুমের পদ্ধতি:

  1. নিয়ত করা – তায়াম্মুম করার পূর্বে নিয়ত করতে হবে, অর্থাৎ আপনি তায়াম্মুম করছেন ইবাদতের জন্য।
  2. মাটি বা পাথর স্পর্শ করা – একটি পরিষ্কার মাটি বা পাথর নিন, এবং তা দিয়ে দু’হাত ঘষে নিন।
  3. মুখ ও হাত ধোয়া – প্রথমে হাতে কিছু মাটি বা পাথর লাগিয়ে পুরো মুখে মুছে নিন। এরপর হাতের তালু দিয়ে বগলে পর্যন্ত দুই হাত মুছে নিন।

এই প্রক্রিয়ায় আপনি পবিত্র হয়ে যাবেন এবং নামাজসহ অন্যান্য ইবাদত করা সম্ভব হবে।

তায়াম্মুম একটি ঐশী নির্দেশ যা অসুস্থতা, পানির অভাব অথবা অন্য কোনো অযাচিত অবস্থায় ব্যবহার করা হয়। তবে, যখন পানি পাওয়া যায় বা ব্যবহারে সমস্যা থাকে না, তখন তায়াম্মুমের পরিবর্তে উজ্জলতা (অর্থাৎ, অজু) করতে হবে।

উপসংহার:

তায়াম্মুমের ফজিলত বা উপকারিতা হলো আল্লাহর দয়া, সহজতা, এবং ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করার সুযোগ। এটি ইবাদতকে সহজতর করে এবং কোনো পরিস্থিতিতে আল্লাহর আদেশ অনুসরণ করার সুযোগ প্রদান করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top