ইসলামী ঐতিহ্য এবং বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থে নবীদের জীবনী ও বয়স নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পাওয়া যায়। অনেক নবী দীর্ঘজীবী ছিলেন এবং তাঁদের জীবনের ঘটনাগুলো মানবজাতির জন্য শিক্ষণীয়। আজকে আমরা কোন নবী ১৪০০ বছর জীবিত ছিলেন? কোন নবী কত বছর বেঁচে ছিলেন ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করবো।

কোন নবী ১৪০০ বছর জীবিত ছিলেন?
ইসলামী ঐতিহ্য অনুযায়ী, হজরত নুহ (আ.) বা নবী নুহ (আ.) ১৪০০ বছর জীবিত ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। কুরআন ও হাদিসে উল্লেখ আছে যে, তিনি দীর্ঘ সময় মানুষকে আল্লাহর পথে ডাক দিয়েছিলেন এবং তাঁর জীবনের একটি বিশাল অংশ মানুষের মধ্যে তাওহীদ প্রচারে ব্যয় করেন। কুরআনে বলা হয়েছে, তিনি ৯৫০ বছর পর্যন্ত মানুষকে সঠিক পথে আসার আহ্বান জানান (সূরা আনকাবুত, ২৯:১৪) তবে ঐতিহাসিকভাবে তাঁর পূর্ণ জীবনকাল আরও দীর্ঘ ছিল বলে জানা যায়।
হযরত নূহ আঃ কত বছর জীবিত ছিলেন
হযরত নূহ (আ.) ইসলামী ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রায় ১৪০০ বছর জীবিত ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। কুরআনে উল্লেখ রয়েছে যে, তিনি ৯৫০ বছর তাঁর জাতির মধ্যে আল্লাহর পথে দাওয়াত দিয়ে গেছেন (সূরা আনকাবুত, ২৯:১৪)। তবে এটি ছিল তাঁর দাওয়াত প্রদানের সময়কাল, এবং তাঁর পুরো জীবনকাল এর চেয়ে দীর্ঘ ছিল বলে ইসলামি সাহিত্য ও হাদিসে উল্লেখ পাওয়া যায়।
হযরত নূহ (আঃ) এ-র সংক্ষিপ্ত জীবনী
হযরত নূহ (আঃ) ইসলাম ধর্মের অন্যতম প্রধান নবী। তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জাতিকে সৎ পথে আহ্বান করার দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তার জীবনী সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নরূপ:
নাম ও পরিচিতি:
- হযরত নূহ (আঃ) ছিলেন আদম (আঃ)-এর নবম প্রজন্ম।
- তিনি ৯৫০ বছর ধরে নিজ জাতির মধ্যে নবুয়তের দায়িত্ব পালন করেন (সূরা আল-আঙ্কাবূত: ১৪)।
- তার জাতি মূর্তিপূজার অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল।
দাওয়াত ও আহ্বান:
- তিনি আল্লাহর একত্ববাদ (তাওহীদ) প্রচার করেন এবং তার জাতিকে মূর্তিপূজা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানান।
- তবে তার জাতি অধিকাংশই তার দাওয়াত গ্রহণ করেনি এবং তাকে অবজ্ঞা করেছিল।
নৌকা ও প্লাবন:
- আল্লাহ তার জাতির অবাধ্যতার কারণে তাদের শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
- নূহ (আঃ)-এর নির্দেশে একটি বিশাল নৌকা নির্মিত হয়, যেখানে তিনি তার অনুসারী এবং প্রাণীদের জোড়ায় জোড়ায় স্থান দেন।
- পরে, একটি ভয়াবহ বন্যায় (তুফানে) অবিশ্বাসীরা ধ্বংস হয়ে যায়।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা:
- তার ধৈর্য, আল্লাহর প্রতি অবিচল বিশ্বাস, এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সৎ পথে আহ্বান করার শিক্ষা মুসলমানদের জন্য আদর্শ।
- তিনি একজন নবী হিসেবে ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, যিনি ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশ পালন করেছিলেন।
উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
হযরত নূহ (আঃ)-এর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন সূরায় উল্লেখ করা হয়েছে, বিশেষত সূরা নূহ, সূরা হূদ, সূরা শুয়ারা, ও সূরা আল-আরাফ।
তিনি মুসলিম ইতিহাসে একত্ববাদ প্রচারের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ।
কোন নবী সবচেয়ে বেশি হায়াত পেয়েছেন
সবচেয়ে দীর্ঘজীবী নবী হিসেবে হযরত নূহ (আ.)-কে বিবেচনা করা হয়। তিনি প্রায় ১৪০০ বছর জীবিত ছিলেন বলে ইসলামি ঐতিহ্যে উল্লেখ রয়েছে। কুরআনে বলা হয়েছে যে, তিনি ৯৫০ বছর ধরে তাঁর জাতির মধ্যে আল্লাহর দিকে আহ্বান জানিয়েছিলেন (সূরা আনকাবুত, ২৯:১৪)। তাঁর দীর্ঘ জীবন ছিল ধৈর্য, ত্যাগ ও অবিরাম প্রচেষ্টার এক বিরল উদাহরণ।
আরও পড়ুন: গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী? গোসলের সুন্নত কয়টি ও কি কি?
অন্যান্য নবীদের জীবিতকাল | কোন নবী কত বছর বেঁচে ছিলেন
হজরত আদম (আ.):
- হজরত আদম (আ.) মানবজাতির প্রথম নবী এবং প্রথম মানুষ। তিনি ১০০০ বছর বেঁচে ছিলেন বলে ধর্মীয় সূত্রে জানা যায়। আদম (আ.)-এর জীবন ছিল মানব ইতিহাসের সূচনা, এবং তাঁর মাধ্যমেই প্রথমবার আল্লাহর শিক্ষা মানুষের মধ্যে প্রচারিত হয়।
হজরত আদম (আ.) ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী। তিনি মানব জাতির পিতা হিসেবে বিবেচিত। আল্লাহ তাআলা তাকে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেন এবং তাকে জ্ঞান, বিবেক ও বুদ্ধি প্রদান করেন।
সৃষ্টির প্রক্রিয়া:
- আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের সামনে ঘোষণা করেন যে, তিনি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি (খলিফা) সৃষ্টি করবেন।
- মাটি দিয়ে হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয় এবং তাঁর মধ্যে রুহ ফুঁকে দেওয়া হয়।
- আল্লাহ আদম (আ.)-কে সবকিছুর নাম শিক্ষা দেন, যা ফেরেশতাদেরও জানা ছিল না।
- আদম (আ.)-এর মাধ্যমে মানব জাতির সূচনা হয়।
জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা:
- জান্নাতে অবস্থান:
আল্লাহ আদম (আ.) এবং তার স্ত্রী হাওয়াকে জান্নাতে স্থান দেন এবং সবকিছু উপভোগ করতে বলেন। তবে, একটি নির্দিষ্ট গাছের ফল খেতে নিষেধ করেন। - নিষিদ্ধ ফল খাওয়া:
শয়তানের প্ররোচনায় তারা নিষিদ্ধ গাছের ফল খান। এতে তারা ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। - পৃথিবীতে প্রেরণ:
তাদের দোষ ক্ষমা করা হলেও শাস্তি হিসেবে আল্লাহ তাদের পৃথিবীতে পাঠান এবং নির্দেশ দেন, এখানে তারা জীবনযাপন করবে ও আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলবে।
উপদেশ:
- আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্য করা।
- শয়তানের ধোঁকায় পা না দেওয়া।
- ভুল হলে আন্তরিকভাবে তওবা করা।
মৃত্যু:
হজরত আদম (আ.) পৃথিবীতে প্রায় ৯৬০ বছর বেঁচে ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তার মৃত্যুর পর তাকে মাটি দিয়েই কবর দেওয়া হয়।
হজরত আদম (আ.) আমাদের জন্য একজন আদর্শ, কারণ তিনি আল্লাহর কাছে তওবার গুরুত্ব শিখিয়েছেন এবং মানব জাতিকে জীবনযাপনের প্রথম শিক্ষা দিয়েছেন।
হজরত ইদরিস (আ.):
- হজরত ইদরিস (আ.) ছিলেন একজন মহান নবী, যাঁকে আল্লাহ সরাসরি আসমানে উঠিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁর জীবিতকাল সম্পর্কে জানা যায় তিনি প্রায় ৮৬৫ বছর জীবিত ছিলেন। তাঁকে জ্ঞান ও বিজ্ঞান শিক্ষা দেওয়ার জন্যও সম্মানিত করা হয়।
হজরত নুহ (আ.):
- কুরআনে উল্লেখ আছে যে হজরত নুহ (আ.) ৯৫০ বছর ধরে তাঁর জাতিকে সঠিক পথে ডেকেছিলেন। তবে তাঁর মোট জীবনকাল ছিল প্রায় ১৪০০ বছর, যা তাঁকে অন্যতম দীর্ঘজীবী নবী হিসেবে পরিচিত করেছে।
হজরত ইবরাহিম (আ.):
- হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর বয়স ছিল প্রায় ১৭৫ বছর। তিনি ইসলামের অন্যতম প্রধান পয়গাম্বর এবং ঈমানের প্রতীক ছিলেন। আল্লাহর প্রতি তাঁর আত্মসমর্পণ, ত্যাগ ও আনুগত্যের জন্য তিনি পরিচিত।
হজরত মুসা (আ.):
- হজরত মুসা (আ.) প্রায় ১২০ বছর বেঁচে ছিলেন বলে জানা যায়। তিনি বনী ইসরাইলের মহান নেতা এবং নবী ছিলেন, যিনি তাদের ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন।
হজরত মুসা (আ.)-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
হজরত মুসা (আ.) ছিলেন ইসলামের এক মহান নবী এবং বনি ইসরাইলের মুক্তিদাতা। তিনি আল্লাহর কাছ থেকে তাওরাত (Torah) প্রাপ্ত হন এবং ইসলামী ঐতিহ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।
জন্ম ও শৈশব
- তিনি মিসরের ফারাওয়ের রাজত্বকালে জন্মগ্রহণ করেন।
- ফারাও নবজাতক পুরুষ শিশুদের হত্যার আদেশ দিলে, তাঁর মা তাঁকে একটি ঝুড়িতে করে নীল নদের জলে ভাসিয়ে দেন।
- ফারাওয়ের স্ত্রী তাঁকে গ্রহণ করেন এবং রাজপ্রাসাদে লালন-পালন করেন।
পয়গাম্বরত্ব ও মিশন
- পরিণত বয়সে আল্লাহ তাঁকে নবুওয়াত দান করেন।
- মুসা (আ.) ফারাওয়ের কাছে গিয়ে তাঁকে আল্লাহর পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
- ফারাও এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলে আল্লাহ মুসা (আ.)-এর মাধ্যমে বিভিন্ন অলৌকিক নিদর্শন দেখান, যেমন লাঠি সাপ হয়ে যাওয়া, হাত থেকে আলো বের হওয়া ইত্যাদি।
বনি ইসরাইলের মুক্তি
- মুসা (আ.) আল্লাহর আদেশে বনি ইসরাইলকে মিসর থেকে মুক্ত করে নিয়ে যান।
- লোহিত সাগর বিভক্ত করার অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে তিনি তাদের সাগর পার করান।
তাওরাত প্রাপ্তি
- তিনি সীনাই পর্বতে গিয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাওরাত লাভ করেন, যা ছিল বনি ইসরাইলের জন্য জীবনযাপনের নির্দেশিকা।
মৃত্যু
- হজরত মুসা (আ.) দীর্ঘ জীবন অতিবাহিত করে ফিলিস্তিনের নিকটবর্তী স্থানে ইন্তেকাল করেন।
গুরুত্ব
- তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত পয়গম্বর এবং ইসলামের প্রধান নবীদের একজন।
- তাঁর জীবনের ঘটনা কুরআনে বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে, যা মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার উৎস।
হজরত ঈসা (আ.):
- হজরত ঈসা (আ.)-কে ৩৩ বছর বয়সে আসমানে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, তিনি দ্বিতীয়বার পৃথিবীতে আসবেন এবং তাঁর জীবনের বাকি সময় এখানে অতিবাহিত করবেন।
- সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তাঁর জীবন ইসলামের পূর্ণাঙ্গ নির্দেশিকা এবং তাঁর অনুসরণের মাধ্যমেই ইসলামের সর্বশেষ ও পূর্ণাঙ্গ ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়।
হযরত ঈসা (আঃ)-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
হযরত ঈসা (আঃ) ইসলামের অন্যতম নবী এবং খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্রীয় চরিত্র যিনি খ্রিস্টানদের কাছে যিশু খ্রিস্ট নামে পরিচিত।
জন্ম ও পরিবার
হযরত ঈসা (আঃ) ফিলিস্তিনের বেথলেহেম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা ছিলেন হযরত মরিয়ম (আঃ), যিনি অলৌকিকভাবে কোন পুরুষের স্পর্শ ছাড়াই আল্লাহর নির্দেশে গর্ভধারণ করেন।
বার্তা ও নবুয়ত
- আল্লাহ তাকে নবুয়ত দান করেন এবং তিনি মানুষের প্রতি একত্ববাদের দাওয়াত দেন।
- তিনি ইনজিল (গসপেল) নামক ঐশী গ্রন্থ লাভ করেন।
- আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি অসুস্থদের আরোগ্য দিতেন এবং মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করতেন।
জীবনকাল
- ইসলামী মতে, হযরত ঈসা (আঃ) আনুমানিক ৩৩ বছর জীবিত ছিলেন।
- তাকে হত্যা করা হয়নি; বরং আল্লাহ তাকে জীবিত অবস্থায় আকাশে তুলে নিয়েছেন।
- কিয়ামতের পূর্বে তিনি আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবেন এবং সত্য ধর্ম প্রতিষ্ঠা করবেন।
উদ্ধার ও আগমন
- ইসলামে বিশ্বাস করা হয় যে, দাজ্জালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তিনি দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তন করবেন।
- তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠা করে ইসলামিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।
হযরত ঈসা (আঃ)-এর জীবন ও বার্তা একত্ববাদ, ন্যায়বিচার ও মানবতার শিক্ষা প্রদান করে।
দীর্ঘজীবী নবীদের জীবন থেকে শিক্ষা
নবীদের দীর্ঘ জীবনের মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা এবং তাঁদের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা প্রদান করা। নবীদের জীবন মানুষের কাছে আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হয়, যেখানে তাঁরা ধৈর্য, ত্যাগ, সততা ও বিশ্বাসের মাধ্যমে নিজেদের উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
নবী নুহ (আ.)-এর দীর্ঘজীবী হওয়ার কারণেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা রয়েছে। তিনি তাঁর জাতিকে একনিষ্ঠভাবে দীর্ঘ সময় আহ্বান জানান, কিন্তু তবুও তাঁরা সঠিক পথে আসতে রাজি হননি। এটি ধৈর্যের এক উজ্জ্বল উদাহরণ, যা নবী নুহ (আ.) আমাদের শিখিয়েছেন।
উপসংহার
নবীদের জীবিতকাল এবং তাঁদের জীবনব্যাপী কাজ আমাদের জন্য শিক্ষার উৎকৃষ্ট উৎস। তাঁরা শুধু দীর্ঘজীবী ছিলেন না, তাঁদের জীবন ছিল আল্লাহর পথে সত্য ও সৎ পথে থাকার এক বিরল উদাহরণ। তাঁদের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা নিজেদের জীবনে ধৈর্য, একনিষ্ঠতা, বিশ্বাস ও সহিষ্ণুতা আনতে পারি।
নবীদের জীবনের আলোচনার মাধ্যমে আমরা শুধু তাঁদের দীর্ঘজীবন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করি না, বরং তাঁদের জীবনধারা, কর্মপদ্ধতি এবং তাঁদের ওপর ন্যস্ত দায়িত্বগুলি সম্পর্কে ধারণা লাভ করি।