ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি? অজুর সুন্নত কয়টি ও কী কী?

ওজু হল এক ধরনের শারীরিক ও আধ্যাত্মিক পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি, যা মুসলমানদের জন্য নামাজ বা সালাতের পূর্বে করতে হয়। এটি আল্লাহর নির্দেশিত একটি ইবাদত, যা মানুষকে শুদ্ধ ও পরিষ্কার করে, যাতে সে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে পারে। আজকে আমরা ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি? অজুর সুন্নত কয়টি ও কী কী? ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করব।

ওযুর ফরজ কয়টি

ওজু কি? ওজু কাকে বলে?

ওজু হলো ইসলামে নামাজের আগে হাত, মুখ, পা ধোয়ার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের একটি পন্থা। এর মাধ্যমে শরীরকে বাহ্যিকভাবে পরিচ্ছন্ন করা হয়, যা নামাজের পূর্বে আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচিত। ওজুর কিছু নির্দিষ্ট নিয়মকানুন রয়েছে, যা অনুসরণ করা আবশ্যক।

ওজুর নিয়মগুলি নিচে উল্লেখ করা হলো:

১. প্রথমে নিয়ত করতে হয়। অর্থাৎ, মনে মনে ওজু করার সংকল্প করতে হয়।

২. এরপর “বিসমিল্লাহ” বলে ডান হাতে পানি নিয়ে তিনবার ভালোভাবে কুলি করতে হয়।

৩. তারপর ডান হাতে পানি নিয়ে তিনবার নাকের মধ্যে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়।

৪. এরপর দুই হাত কবজি পর্যন্ত তিনবার ধুতে হয়।

৫. তারপর তিনবার মুখমণ্ডল ধুতে হয়।

৬. প্রথমে ডান হাত এবং পরে বাম হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুতে হয়।

৭. এরপর একবার মাথা মাসেহ করতে হয়। অর্থাৎ, ভেজা হাতে মাথা মুছে নিতে হয়।

৮. সবশেষে, প্রথমে ডান পা এবং পরে বাম পা টাখনু পর্যন্ত তিনবার ধুতে হয়।

ওজু করার সময় কিছু বিষয় মনে রাখতে হয়:

  • পানি পরিষ্কার ও পবিত্র হতে হবে।
  • অঙ্গগুলো ভালোভাবে ধুতে হবে, যাতে কোনো স্থান শুকনো না থাকে।
  • ওজু করার সময় কথা বলা বা অন্য কোনো কাজ করা উচিত নয়।

ওজু শুধুমাত্র নামাজের জন্যই নয়, বরং যেকোনো ভালো কাজের আগেও করা যেতে পারে। এটি শরীরকে পরিষ্কার রাখে এবং মনকে শান্ত করে।

ওজুর মাধ্যমে মুখ, হাত, মাথা ও পা ধুয়ে শরীরের নির্দিষ্ট অংশসমূহ পরিষ্কার করা হয়। এর উদ্দেশ্য হলো বাহ্যিক পবিত্রতা অর্জন এবং অন্তরের শুদ্ধতার প্রতিফলন ঘটানো। ওজু করা মুসলিমদেরকে আল্লাহর স্মরণ করিয়ে দেয় এবং আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটায়। কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন:

“হে মুমিনগণ! যখন তোমরা নামাজের জন্য দাঁড়াতে চাও, তখন তোমরা মুখমণ্ডল এবং হাত দুটো কনুইসহ ধুয়ে নাও, আর মাথার চতুর্থাংশ মাসেহ করো এবং পা দুটো টাখনুসহ ধুয়ে নাও।” (সূরা মায়িদা, ৫:৬)

ওজু ছাড়া নামাজ শুদ্ধ হয় না, তাই এটি প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে করা আবশ্যক। এছাড়াও কুরআন তেলাওয়াত এবং অন্যান্য কিছু ইবাদতের জন্যও ওজু করা সুন্নত।

ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি?

ওযুর ফরজ মোট চারটি। ওজুর ফরজগুলো হলো:

  1. মুখমণ্ডল ধোয়া – কপালের উপরের অংশ থেকে থুতনির নিচ পর্যন্ত এবং এক কান থেকে অন্য কানের সীমা পর্যন্ত মুখমণ্ডল ধুতে হবে।
  2. হাত ধোয়া – দুই হাতের কনুইসহ ধোয়া।
  3. মাসহ করা – মাথার চতুর্থাংশে ভেজা হাত দিয়ে মাসহ করা (হাত বুলানো)।
  4. পা ধোয়া – দুই পা টাখনুসহ ধুতে হবে।

এগুলো ছাড়া ওজু সম্পূর্ণ হয় না এবং সঠিকভাবে ইবাদত করা সম্ভব নয়।

অযুর সুন্নত কয়টি ও কী কী?

ওজুর সুন্নত মোট তেরোটি। এগুলো পালন করা সুন্নত, যা করলে ওজুর সওয়াব বৃদ্ধি পায় এবং ওজু সম্পূর্ণরূপে সুন্নত মোতাবেক হয়ে থাকে। ওজুর সুন্নতগুলো হলো:

  1. ওজু করার পূর্বে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা।
  2. দু’হাত কবজি পর্যন্ত ধোয়া।
  3. মিসওয়াক করা বা দাঁত পরিস্কার করা।
  4. কুলি করা।
  5. নাকের ভিতরে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা।
  6. সমস্ত অঙ্গ তিনবার করে ধোয়া।
  7. মুখমণ্ডল ধোয়ার সময় দাড়ির ফাঁকে পানি প্রবেশ করানো।
  8. হাত ধোয়ার সময় আঙুলগুলোর ফাঁকে পানি পৌঁছানো।
  9. মাথার সম্পূর্ণ অংশ মাসেহ করা।
  10. দুই কানে মাসেহ করা।
  11. সঠিকভাবে ওজুর অঙ্গগুলোর ধোয়ার জন্য নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।
  12. এক অঙ্গ শুকানোর আগেই অন্য অঙ্গ ধোয়া।
  13. ডানদিক থেকে শুরু করা, যেমন ডান হাত, ডান পা।

ওজুর সুন্নতগুলো মানলে শুধু বাহ্যিক পবিত্রতা নয়, বরং অভ্যন্তরীণ তৃপ্তি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব হয়।

আরও পড়ুন: দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ, আরবি অর্থ, ফজিলত ও পড়ার নিয়ম

ওযুর নিয়ম | ওজু করার নিয়ম

ওজু করার নিয়ম ধাপে ধাপে নিম্নরূপ:

  1. নিয়ত করা: অন্তরে এই নিয়ত করতে হবে যে আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ওজু করছেন।
  2. ‘বিসমিল্লাহ’ বলা: ওজু শুরু করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ পড়া সুন্নত।
  3. দুই হাত কবজি পর্যন্ত ধোয়া: প্রথমে ডান হাত এবং পরে বাম হাত কবজি পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিতে হবে।
  4. মিসওয়াক করা বা দাঁত পরিষ্কার করা: দাঁত মিসওয়াক দিয়ে পরিষ্কার করা সুন্নত। মিসওয়াক না থাকলে হাত দিয়ে দাঁত ঘষে পরিষ্কার করা যেতে পারে।
  5. কুলি করা: মুখে পানি নিয়ে তিনবার কুলি করতে হবে।
  6. নাকে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা: নাকের ভিতরে পানি দিয়ে তিনবার পরিষ্কার করতে হবে এবং তা থেকে ময়লা বের করে ফেলতে হবে।
  7. মুখ ধোয়া: কপালের চুলের গোড়া থেকে থুতনির নিচ পর্যন্ত এবং এক কান থেকে অন্য কান পর্যন্ত মুখ তিনবার ধুতে হবে।
  8. দাড়ির ফাঁকে পানি পৌঁছানো: যদি দাড়ি থাকে, তবে দাড়ির ফাঁকে পানি ঢুকানো উচিত।
  9. হাত ধোয়া: ডান হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিতে হবে, তারপর একইভাবে বাম হাত ধুতে হবে।
  10. মাথার মাসেহ করা: ভেজা হাত দিয়ে মাথার সামনে থেকে পিছনে এবং আবার সামনে টেনে আনা। এটি একবার করতে হবে।
  11. কানের মাসেহ করা: ভেজা আঙুল দিয়ে কানের ভিতরের অংশ এবং বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে বাইরের অংশ মুছতে হবে।
  12. পা ধোয়া: ডান পা টাখনুসহ ধুয়ে নিতে হবে, তারপর একইভাবে বাম পা ধুতে হবে। আঙুলের ফাঁকেও পানি পৌঁছানো উচিত।
  13. ওজুর দোয়া পড়া: ওজু শেষ করার পর এই দোয়া পড়া সুন্নত:

“আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শরিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।”

উল্লেখ্য: ওজু শুরু করার সময় ডানদিক থেকে শুরু করা, ধোয়ার সময় প্রতিটি অঙ্গ তিনবার ধোয়া এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সুন্নত।

ওযু / অজু ভঙ্গের কারণ কি কি?

ওজু ভঙ্গের মোট কয়েকটি কারণ রয়েছে, যেগুলো হলে পুনরায় ওজু করতে হবে। নিম্নে ওজু ভঙ্গের প্রধান কারণগুলো উল্লেখ করা হলো:

  1. পায়খানা বা পেশাবের রাস্তা দিয়ে কিছু বের হওয়া: বায়ু, পেশাব, পায়খানা, রক্ত, পুঁজ ইত্যাদি বের হলে ওজু ভঙ্গ হবে।
  2. মলমূত্র ত্যাগ করা: পায়খানা বা পেশাব করলে ওজু ভঙ্গ হয়ে যাবে।
  3. গায়ে ঘাম বা রক্ত বের হওয়া: যদি শরীরের কোথাও থেকে এত রক্ত বের হয় যে তা প্রবাহিত হতে পারে, তবে ওজু ভঙ্গ হবে।
  4. পায়খানা বা পেশাবের রাস্তা থেকে বায়ু নির্গত হওয়া: অর্থাৎ ‘গ্যাস’ বা পাদ হলে ওজু ভঙ্গ হবে।
  5. ঘুমানো: যদি কেউ এমনভাবে ঘুমায় যে তার শরীরের কোনো অংশ মাটি থেকে আলাদা হয়, তাহলে ওজু ভঙ্গ হবে। তবে বসে বা হেলান দিয়ে এমনভাবে ঘুমালে যে শরীর স্থির থাকে, তাতে ওজু নষ্ট হবে না।
  6. পাগল হয়ে যাওয়া, অজ্ঞান হওয়া বা মাতাল হওয়া: যদি কেউ অজ্ঞান হয়ে যায়, পাগল হয়ে যায়, বা মাতাল হয়, তাহলে ওজু ভঙ্গ হবে।
  7. হাসা: নামাজের মধ্যে উচ্চস্বরে হাসলে ওজু ভঙ্গ হবে।
  8. কিছু খাওয়া বা পান করা: যদি কেউ কোনো খাবার বা পানীয় গ্রহণ করে যা শরীরের রক্ত বা পেশীতে প্রবেশ করে, তবে ওজু ভঙ্গ হবে। (যেমন: ইনজেকশন ইত্যাদি)

এগুলো ছাড়াও আরও কিছু কারণ আছে, কিন্তু এগুলোই প্রধান। ওজু ভঙ্গ হলে পুনরায় শুদ্ধভাবে ওজু করা জরুরি, যেন নামাজসহ অন্যান্য ইবাদত শুদ্ধভাবে সম্পন্ন করা যায়।

অযু করার গুরুত্ব ও ফজিলত

অযু (Wudu) হলো ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কার্য, যা নামাজ (সালাত) এবং অন্যান্য কিছু ইবাদত করার পূর্বে পবিত্রতা অর্জনের জন্য করা হয়। অযু করার মাধ্যমে একজন মুসলমান নিজেকে শারীরিক ও আত্মিকভাবে পবিত্র করে তোলে। এটি ইসলামে পূর্ণতা, পরিশুদ্ধতা এবং আল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত।

অযু করার গুরুত্ব:

  1. নামাজের জন্য পবিত্রতা:
    • নামাজ আদায়ের পূর্বে অযু করা ফরজ। ইসলামিক শরিয়তে অযু ছাড়া নামাজ বা অন্য কোনো ইবাদত করা অবৈধ। অযু মুসলমানদের জন্য নামাজের সঠিকতা নিশ্চিত করে।
  2. শারীরিক ও আত্মিক পরিশুদ্ধতা:
    • অযু করা কেবল শারীরিক পবিত্রতা নয়, বরং একজন মুসলিমের আত্মিক পরিশুদ্ধতারও প্রতীক। এটি মনকে পরিষ্কার করে এবং আল্লাহর কাছে আরো কাছাকাছি পৌঁছাতে সাহায্য করে।
  3. আল্লাহর সন্তুষ্টি:
    • অযু করা আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করা। এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে, কারণ এটি মুসলমানদের ইবাদতের অংশ।
  4. পাপ মুক্তি:
    • অযু করার সময় শরীরের কিছু অংশ ধোয়া হয়, যার ফলে ছোট ছোট পাপ এবং গুনাহ মুছে যায়। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, “যখন মুসলিম অযু করে, তখন তার গুনাহগুলো পলক পড়ার মতো ঝরে যায়।” (সহীহ মুসলিম)

অযুর ফজিলত:

  1. পাপ মুছে যাওয়া:
    • হাদীসে এসেছে যে, যখন মুসলিম অযু করেন, তাদের শরীরের অংশগুলি ধোয়া হয়, এবং তার সাথে ছোট ছোট পাপ মুছে যায়। “যখন সে অযু করবে, তার গুনাহ মুছে যাবে।” (সহীহ মুসলিম)
  2. জন্নতের দাওয়াত:
    • অযু করার মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর সঙ্গে তার সম্পর্ক স্থাপন করেন। একটি হাদীসে এসেছে, “যারা অযু করেন তাদের জন্য জন্নতের দরজা খুলে দেওয়া হবে।” (সহীহ মুসলিম)
  3. পৃথিবীতে শান্তি ও নিরাপত্তা:
    • অযু করা আত্মিক শান্তি এবং আধ্যাত্মিক উজ্জীবন প্রদান করে। এটা মুসলমানের মনোবল বৃদ্ধি করে এবং তার জীবনে শান্তি নিয়ে আসে।
  4. ইবাদতের পূর্ণতা:
    • নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত এবং অন্যান্য ইবাদত সঠিকভাবে সম্পাদন করার জন্য অযু গুরুত্বপূর্ণ। অযু ছাড়া এসব ইবাদত পূর্ণতা লাভ করে না।

কোন কোন পানি দ্বারা অজু করা যাবে আর কোন কোন পানি দ্বারা অজু করা যাবে না?

ইসলামে অজু (Wudu) করতে হলে নির্দিষ্ট কিছু পানির মাধ্যমে তা করা আবশ্যক এবং কিছু পানি দ্বারা অজু করা নিষেধ।

✅ অজু করার জন্য যে পানি ব্যবহার করা যায়:

  1. স্বাভাবিক পানি
    স্বাভাবিক, পরিচ্ছন্ন এবং বিশুদ্ধ পানি দিয়ে অজু করা যায়, যা মাটির নিচে বা উপরে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়। উদাহরণ: নদী, পুকুর, ঝর্ণা, কিংবা সাধারণ পানি যা কোনো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দূষিত হয়নি।
  2. বৃষ্টি পানি
    বৃষ্টির পানি যদি কোনো ধরনের ময়লা বা অপবিত্রতা না থাকে, তবে তা দিয়ে অজু করা যাবে।
  3. বেগুন পানি (কাঁদা পানি)
    পানি যদি মাটি বা বালি দিয়ে মেশানো হয়ে থাকে, তবে তা যদি পরিষ্কার থাকে তবে তা দিয়ে অজু করা যাবে।
  4. জীবজন্তুর পানি
    এমন পানি, যা জীবজন্তু যেমন গরু, হাঁস ইত্যাদির দ্বারা ব্যবহৃত, যদি তাতে কোনো অপবিত্রতা না থাকে, তবে তা দিয়ে অজু করা যায়।

অজু করার জন্য যে পানি ব্যবহার করা যাবে না:

  1. মদ (অ্যালকোহলযুক্ত পানি)
    মদ, অ্যালকোহল বা কোনো ধরণের মাদক দ্রব্যের পানি দিয়ে অজু করা যাবে না, কারণ এগুলো শরীর এবং মনকে অশুদ্ধ করে।
  2. মৃত প্রাণীর পানি
    মৃত প্রাণীর শরীর থেকে সঞ্চিত পানি বা তাদের থুতু, প্রস্রাব বা অন্যান্য ময়লা যা শরীরের অঙ্গ থেকে বের হয়, তা দিয়ে অজু করা নিষেধ।
  3. অবাঞ্ছিত বা ময়লা পানি
    যদি পানি ময়লা বা অপবিত্র হয়ে থাকে, যেমন: পানির মধ্যে ময়লা, কেচো, রাসায়নিক দ্রব্য বা অন্যান্য অশুদ্ধ পদার্থ মিশে যায়, তবে তা দিয়ে অজু করা যাবে না।
  4. পানি যদি মদের সঙ্গে মিশে যায়
    যদি কোনো পানি মদের সঙ্গে মিশে গিয়ে অপবিত্র হয়ে যায়, তাহলে তা দিয়ে অজু করা যাবে না।

অজু করতে সাধারণত পানি ব্যবহার করা হয় যা পবিত্র, পরিষ্কার এবং অপবিত্রতা মুক্ত থাকে। স্বাভাবিক পানি, বৃষ্টি পানি এবং জীবজন্তুর পবিত্র পানি দিয়ে অজু করা যায়। তবে, মদ, মৃত প্রাণীর পানি এবং কোনো অপবিত্র পানি দিয়ে অজু করা নিষেধ।

উপসংহার:

অযু ইসলামের একটি মৌলিক ইবাদত যা শরীর এবং মনকে পবিত্র করে তোলে। এটি নামাজ এবং অন্যান্য ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করার পূর্বশর্ত। অযু করার মাধ্যমে মুসলিমরা আল্লাহর সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে দৃঢ় করে, পাপ মুক্ত হয় এবং অতিরিক্ত পুরস্কারের আশায় জন্নতের দিকে অগ্রসর হন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top